মেঘময় মুখরতা

দুঃসময়ে মেলে রাখবো উদাসী তরুর মতো
শব্দের পত্রালি শাখা প্রশাখা,
পাখা মেলে ছায়া দেবো এই গেরস্থালি
ভাঙাচোরা শীর্নহাড় জীবনযাপন
চৈত্রের ক্ষেতের মতো চৌচির শুল্ক নিবাসে
সরল গর্ভিনী মেঘ জলের শ্রাবন দেবো
পাখা মেলে অনুর্বর শস্যভূমিতে ছড়াবো আর্দ্র আবাদ।

জন্মে ছিলো না পাপ, জ’ন্মে হয়েছি পাতক…
জননীর স্নেহা চুমোর চিহ্নহীনতায়
শূন্য ললাট কী ক্ষুব্ধ বিক্ষোভে আজ
শ্রমিকের পেশল বাহুর মতো সক্রোধে
ভাঙে না ভাগ্যের অলীক বিধান!

করতলে বেখা নেই- প্রতিবাদী হাতে ছোঁবো
গন্তব্যের সুনীল শিখর।
স্বপ্নহীন চোখের সকেটে
এই দ্যাখো জ্বেলেছি স্বপ্নভুক ব্যতিক্রম আলো-

দুঃসময়ে মেলে দেবো তরুসুলভ ছায়া
এই ভাঙাচোরা শীর্ন হাড় জীবনযাপন,
প্রতিবাদী হাতে ছোঁবে গন্তব্যের সুনীল শিখর।