নিজেকে নিয়ে আছি নিজে নিজে আছি

নিজেকে নিয়েই আছি।
বাতাসে বসন্তের কুসুমিত সৌরভ
ছড়ালে অথবা কোনো গাঢ় নিসর্গে যদি
তার নরোম হাত রাখে; তবু উদাসীন থাকি
নিজেকে নিয়েই থাকি।

নিরপেক্ষ বিকেলে ক্লান্ত সারাদিন
শেষে জনৈক এক যখন অলস হাতে
খুলে রাখে নীল তার রোদ-চশমা এবং
প্রকৃতি বিষণ্ণ হাতে পাল্টিয়ে নেয়
রোদের হলুদ সার্ট; তখন আকাশে রাত
নিজস্ব ছায়া দ্যাখে। বাতাসের শ্লথ চুলে
হাসনুহানার ঘ্রান প্রখর মাতাল

তবু আমি দুটি চোখ অলৌকিক চশমায়
আবৃত রাখি; কাজেই সন্ত্রাস সমস্যা অভাবেও
আজকাল কিছুতেই কিছু যায় আসে না- শুধু

হাত দুটি রেখেছি আমার আকাশের ললাটে
অথবা কোথাও কোনো বাস নিয়মিত চলতো
এখন চলে না আর।

পেছন থেকে তুমি পুরোনো প্রেমের স্বরে
ডাকলেও আমি তাকাবো না আর ভালোবাসা
নামক স্টীমারেও উঠবো না বোলে আছি
নিজেকে নিয়েই আছি-

ব্যক্তিগত আয়নায় যে প্রতিবিম্ব
তাতে লুকোনো কোনো অর্থ নেই য্যামোন
রাতের ভেতরে রাতের ছায়া, তাই একাকী
জোৎস্নার বুকে শুয়ে আছি বাতাসের ছায়ে

এবং নিজে নিজে আছি
নিজেকে নিয়েই আছি।

(৭.৪.১৯৭৪)