নিতান্তই একা

যখন ঘুম থেকে জাগলাম
ক্রন্দনরত আমি একা,
দেখলাম ধীরে ধীরে আমাকে-
চিনলাম আমার চতুর্পাশ,
জানলাম অনেক ধ্রুব নক্ষত্র,
শিখলাম তাদের নাম।

যৌবনের রথে অনাবিল আনন্দে
বিচরন করলাম ত্রিভুবন,
দেখলাম অনেক – অজস্র ফুল,
অসংখ্য নদী প্রান্তর আমায়
জানাল সম্ভাষন। ভাবলাম
সবাই এরা বোধ হয় একান্তই আমার।

আনন্দ প্রাচুর্যের মাঝে লক্ষ্যই
করিনি- আমিও চলছি।
তারপর আকাশে চাঁদ হাসল,
তারার দল আমায় করল নমস্কার।

প্রচুর হাসির বন্যা এলো পথে,
ভাবলাম এ-ও থাকবে চিরদিন।

কিন্তু যখন পথ শেষ হলো
দেখলাম সবাই হারিয়ে গেছে,
আমি নিতান্তই একা-
ঠিক বিষণ্ণ মধ্যহ্নের মত।