অবদমনের ডালপালা

তবু তুমিও বলতে পারছো না- না, নেই, কোথাও নেই,
আমার কোথাও আজ তার ছায়া নেই, সে নেই কোথাও-
বৃষ্টির জলের দাগ মুছে গেছে একদিন সকালের রোদে।

তবু তুমি বলছো না- সে তোমার কেউ নয়, প্রজাপতি,
অথবা পাখি সে, দুদণ্ড জড়িয়ে গেছে জীবনের ডালে।
তোমার শাখায় বোসে দেখেছে সে অন্য ফুল, উজ্জ্বল অধিক,
প্রজাপতি উড়ে যাবে বিচিত্র বিভিন্ন ফুলে সে তো স্বাভাবিক-

তবু তুমি বলছো না বিষকরবীর ফল
ঠোঁটে কোরে এনেছিলো সে তোমার নিভৃত উঠোনে,
ঈশানের মেঘের মতোন সাথে কোরে এনেছিলো
বজ্র, বৃষ্টি আর প্রবল বাতাস।

তোমার খড়ের ঘর,
হায় প্রেম! ছিন্নভিন্ন পড়ে আছে বিরান প্রান্তরে।

তবু, তুমি বলছো না- ভুল, ভুল বৃক্ষ, পরিচয়,
ভুল স্বপ্নে বেড়ে ওঠা জীবনের ব্যথিত ফাল্গুন।

তবু তুমি বলছো না-
জীন নয়, সামাজিক জীর্নতার আগুনে রেখেছি হাত,
বিশ্বাসের ঝুলকালি ঝেড়ে ফেলে এই তো এসেছি আমি।
এই তো আবার আমি দাঁড়িয়েছি কৃষ্ণপক্ষ পৃথিবীর তীরে।।

(০৭.০৭.১৩৯৪ মোংলা বন্দর)