অনুভূতিহীন বিকেলে তোমার প্রত্যাশা

আমাকে সম্পূর্ন অনাত্মীয় ভেবে যখন
চলে গেলে তোমরা বৈকালিক অনুভূতি
মাঠের শিয়র ঘেঁষে রাস্তাটি তখনো
শুয়ে ছিলো বিবশ শরীরের মতো উদোম
অথচ আমার তো যাওয়া হলো না কোনোদিন।

নির্ভেজাল বেহালাটা নিয়ে আনমনে
তুলে যাই অতি চমৎকার রঙিন ফুল
সুরের কমালে এবং তুলে যাই, তুলেই যাই।

তোমার নিশ্বাস আরো নিম্নগামী হোক
ঝুলে পড়ুক চোখের উন্নত দৃষ্টি
বুকের স্ফীত মাংস কেঁপে উঠুক বিস্ফোরণে
অথচ তুমিও পালাতে চাও পথ পেলেই।

দৃষ্টির উড়োজাহাজও প্রপেলারহীন
এলোপাথাড়ি উড়ে হারায় পথ।
এখন সংগীত চাই- যন্ত্রের চীৎকার
কর্কশ ভায়োলীন, গীটারের উন্মাদনা
এ সব থাক। মুখ বুজে পেছনে তাকালেই
‘ঝর্না’র মতো তুমিও চলে যেতে চাইলে
বুকের পলেস্তারা ভেঙে।

আমার জানালার সম্মুখে
তাহলে কি ডাকবে কালো কাক
অসময়ে কর্কশ স্বরে।

তোমরাও চলে গেলে বৈকালিক অনুভূতি
আমাকে অনাত্মীয় ভেবে।
এখন তুমিও যেতে চাও!
রাস্তাটি তখনো শুয়ে ছিলো উদোম
তবু, আমার তো যাওয়া হোলো না কোনোদিন।