অপর বেলায়

বড়াে বেশি সংসার এসে গেছে শরীরে স্বভাবে-
এতোটা কি উচিত ছিলাে!
এতােটা মেঘহীন, ঝড়ের শর্তবিহীন বাতাসে
খুলে ফেলেছি শার্টের সবগুলাে সােনালি বােতাম-
এতােটা কি উচিত ছিলাে!

প্রথম বন্ধন এসে কেঁপেছিলো বেতস লতা,
দ্বিতীয়তে মৃত্যু ছিলাে দ্বিধাহীন সখাত সলিলে।
তবুতাে তার কাছে স্বপ্নের শেষ কানাকড়ি,
শেষ পরাজয় তুলে দিয়ে বলেছি সিঁদুর-আশ্রয়-
এতােটা কি উচিত ছিলো?

জানি না কি মােহ ছিলাে এতাে মােহময়
জানি না কি-দাই প্রাণ এতােটা পােড়ায়!
তবুতাে মুগ্ধ মন পুড়েছি একাকী এই দ্বিধাহীন বিশ্বাসে-
দারুন নির্জনে নেমে বেঁধেছি একখানা রঙিন নৌকো,
আমি তাে পারাপার জানি না, জানি না বৈঠার ভাষা।
কোনখানে কুল নাই তার কোথায় কিনারা নাই,
কতোখানি সাবধানে ভাসাতে হয় ভাঙা তরীখানি
জানি না-

তবু, এই অপর বেলায় অনিকেত নবীন মাঝি
পরবাসি বন্ধুর খবর নিয়ে ফিরে যাই দেশে।
ফিরে যাই বিনিদ্র চোখের কাছে একখানা চিঠি,
বকুলের খামে মােড়া শুত্র সকাল।

২১.০৩.৭৬ রামপাল, বাগেরহাট।