প্রজাপতির স্বভাব

দুএকটি গোপন চুমুর স্মৃতি তুমিও লুকিয়ে রাখো,
কে না রাখে!
অথচ গর্বিত অস্বীকার মেখে যখন নিজেকে মেলে ধরো
তাকেও সুন্দর মনে হয়,
মনে হয় এই সে প্রথম ফুল, প্রথম প্রকাশ।

বিষণ্ণ কষ্টের ভাঁজ খুলে খুলে যখন লুটায়,
বিকেলের আলোর মতোন হৃদয় যখন
খুব বেশি খোলামেলা হয়ে আছে,
তখন পাখির মতো একজোড়া ঠোঁট যদি ছুঁয়ে যায়
যদি পালকের মতো স্নেহময় একখানা হাত
মুছে দেয় চিবুকের বিষণ্ণতা-
তাতে কোনো দোষ নেই।
জানি, তারো প্রয়োজন আছে এই ভাঙাচোরা নষ্ট কাঠামোয়।

শুশ্রূষার সব দায় কাঁধে তুলে চিরকাল নিয়েছে নিসর্গ,
কেবল মানুষ তাকে সভ্যতার নাম কোরে সুদূরে ঠেলেছে।

মানুষেরই সম্পর্ক আজ শুধু সমূহ জটিল,
স্বরচিত জালে বন্দি মানুষের আত্মাটিতে
জমে ওঠে তাই এতো কোলাহল, অসহ্য চিৎকার।
খাঁচাকে ভাঙতে চেয়ে ভেঙে ফ্যালে নিজের কাঠামো-

বৃক্ষের বিরোধহীন হৃদয়কে বুকে তুলে নিই,
পাখির ডানার স্বপ্ন মেখে নিই ইচ্ছার পালকে।
অজস্র সুন্দর ছুঁয়ে যদি শিখে ফেলি প্রজাপতির স্বভাব,
ফুলেরা কখনো জানি ধিক্কার দেবেনা তাকে।।

০১.১০.১৯৯৬ রাজাবাজার ঢাকা