রূপকথা

সামরিক ক্যু হবার পর
সকল কু বাজেয়াপ্ত করা হলো।

কোকিলেরা পাল্টে নিলো পরিচিত ডাক,
পাখিদের পাঠ্যসূচি থেকে কুহু স্বর পরিত্যক্ত হলো।
জলেদের কুল কুল চলাফেরা থেমে হলো ল ল ধ্বনি,
কুস্তিগীর কুহীন স্তি নিয়ে জমালো আসর।
ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোলালি করলো বটে
কোলাকুলি বন্ধ হলো।

কুলীন সকল লীন হলো, কুকাজ দাঁড়ালো শেষে কাজে,
কুমির হিংস্রতা ভুলে মীর হয়ে মাথায় পরলো টুপি।
কুমারীরা অতিদ্রুত মারীমন্তরে গেলো ভেসে,
কুমন্ত্রনা অতপর মন্ত্রনার মর্যাদা জোটালো-

ঘোলাটে কুয়াশা আশা হয়ে নিয়ে এলো
নিরাশার শব্দহীন ঝড়,
আর কুকুরেরা হয়ে উঠলো র অর্থাৎ খাঁটি;
নিশর্ত প্রভুভক্তিতে অবশ্যই চিরকাল খাঁটি তারা।
কুলোক সকল লোকে রূপান্তরিত হলেন,
বিভিন্ন প্রথম সারিতে তাদের মুখ জ্বলজ্বল করতে থাকলো।

নটেগাছটি মুড়োলো-
অতপর কুবিহীন সুসময় বেতারে টিভিতে
প্রকাশিত হতে থাকলো প্রত্যেক দিন।

(২৮.১০.১৩৯৫ মিঠেখালি, মোংলা)