সবুজ গোলাপ হৃদ্‌পিণ্ড

আমাকে টুকরো কোরে, টুকরো টুকরো কোরে
যদি ফেলে রাখো এই রাজকীয় রাজপথে,
আইনের লাল গৃহগুলো খোঁজও নেবে না।

দু’একটি নাগরিক কাক এসে ঠোকরাবে
প্রথমে আমার চোখ অর্থাৎ দৃষ্টিশক্তি।
আর নগরের সভ্য মানুষেরা চলে যাবে দ্রুত পাশ কেটে,
খণ্ডিত মৃতদেহকে নিয়ে না জানি কি হাঙ্গামাই হয়।
ফ্যাকাশে ত্বকের সুন্দরীটি একটি বার দেখেই
বমি কোরে ফেলবে- ইস্ জঘন্য…

পথচারী নিম্ন মধ্যবিত্ত, ছা পোরা ভয়ে ভয়ে
একটু আধটু উঁকি দিয়েই কেটে পড়বে নিজস্ব গন্তব্যে।
তা ছাড়া কীইবা করার আছে তাদের-
ছিন্নমূল টোকায়েরা গুটি গুটি জমা হবে সড়কের পাশে।

মাছিগুলো রক্ত থেকে সংগ্রহ করবে খাদ্য,
পিঁপড়েগুলোও বাদ পড়বে না,
সামনে শীতের জন্যে তাদেরও তো খাবার প্রয়োজন।
দু’একটি নেড়ি কুত্তা উরু আর পাঁজরের
সুনরোম মাংশ সোল্লাসে গিলতে লেগে যাবে।

অতপর শান্তিরক্ষী নামধারী নির্বোধ পুলিশ
লাশের সুরতহাল নিতে এসে মুষড়ে পড়বে,
কারণ, এরকম অদ্‌ভুত ঘটনায় তারা কখনো অভ্যস্ত নয়।

বিস্মিত চোখে তারা দেখবে লাশের হৃদ্‌পিণ্ডটি
একটি বিশাল গোলাপের মতো ফুটে আছে,
প্রকৃতই সেটি এক অতিকায় সবুজ গোলাপ।।

০৪.১১.১৩৯৪ রাজাবাজার, ঢাকা