এজলাশ

মাতঙ্গিনী হাজরাকে আমরা গুলি করে মেরেছি ধর্মাবতার
সত্যি যে, মেরেছি আসামের স্কুলছাত্রী কনকলতা বরুয়াকে
ঘরের বউ ভোগেশ্বরী ফুচননি-কে-
সত্যি যে, দৈবাত্ আমরা নারীঘাতী, অসহায়ভাবে নারীঘাতী আমরা দৈবাত্।
কিন্তু ভাবুন ধর্মাবতার, ভাবুন ঐ আন্দোলনওলাদের ধাষ্টামো
“ভারত ছাড়ো’ হাঁক দিয়ে কাপুরুষেরা সামনে এগিয়ে দিয়েছিল মেয়েদের
আমাদের হাত কলঙ্কিত করে দেবার জন্য
ভাবুন কী ঘৃণ্য সেই চক্রান্ত, ধর্মাবতার।

অমৃতসরে আমাদের নিছকই এক বদলা নেবার দিনটায়
পাঁচিলঘেরা বাগানে যেখানে একটাই মাত্র সরু প্রবেশপথ
যত্কিঞ্চিত নারীশিশুকে আমরা খুন করে ফেলেছি ঠিকই
ওদের বুকের দিকে ছিটকে ছিটকে গেছে গুলি মাত্র ষোলশো রাউণ্ড
আর খামোখাই লালরঙে ভিজে গেছে মাটি।
ঠিক, কিন্তু ভাবুন ধর্মাবতার
কোন হীন মতলবে ওখানে ওদের টেনে এনেছিল পাঞ্জাবের বুরবকরা
আমাদের-শুধু আমাদেরই জব্দ করবার জন্য !

কিন্তু না
কোনো এজলাশে একথা বলতে পারেনি কেউ
আশ্চর্য যে
সাফাই গাইবার জন্য এইটুকু বুদ্ধিও সেদিন হয়নি হাবা ইংরেজদের।