আগুন

সে আমার স্বামী, অভিধান বলে সে আমার
কর্তা, প্রভু, অধিপতি ইত্যাদি ইত্যাদি
সমাজ স্বীকার করে সে আমার অনন্য ঈশ্বর।

আমার অথর্ব স্বামী শিখে গেছে
কর্তৃত্ব করার প্রচলিত নিয়মকানুন।
সে ভীষণ যেতে চায় পুলসেরাতের পথ হেঁটে ঝলমলে বেহেস্তের দেশে
চায় ফলমূল, রঙিন পানীয় আর সুস্বাদু খাবার
সে বড় কামনা করে
চর্ব্য, চোষ্য, লেহ্য গৌরবর্ণ হুরের শরীর।

আমার কপালে অকল্যাণ ছাড়া কিছু লেখা নেই
ইহকালের উনুনে খড়ি কাঠ ঠেলে পার করি সামাজিক আয়ু
পরকালে অথর্ব স্বামীকে দেখি সাতাত্তর সঙ্গমে প্রমােদে উল্লসিত।

আমি একা, বেহেস্তের সুখদ উদ্যানে একা আমি
পুরুষের অন্ধ অশ্লীলতা দেখে
মনে মনে দোজখের অনন্ত আগুনে পুড়ি সতীসাধ্বী নারী।