আনন্দ অনল

তুমি যখন কথা বলাে, এত শিল্পিত কথা আমি কোনও
কথাশিল্পীর মুখে শুনিনি।
তুমি যখন হাসাে, তখন দা ভিঞ্চিকে কবর থেকে তুলে
তােমার সামনে দাঁড় করিয়ে দিতে ইচ্ছে করে।
তুমি যখন দুর্নিবার হেঁটে চলাে, আমার ভেতর দু’দশটা
পাহাড় ভাঙে, ক্রমাগত পাথর ভেঙে পড়ে। তুমি যখন
খেপে অস্থির হও, তারও চেয়ে দ্বিগুণ খেপে আমি মুখ
ফিরিয়ে রাখি। স্নিগ্ধতা শিকেয় তুলে উদাসীন চেয়ে
থাকি অন্য কোনও সুন্দরের দিকে। তুমি আমার
সমস্ত অভিমানকে অহংকার ভেবে ভুল করাে।
আর এদিকে আমি তােমার অহংকার ছোঁব বলে যতই
সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠি, তুমি আকাশের দূরত্ব নিয়ে
দূরতম নক্ষত্র হয়ে আমাকে প্রলুব্ধ করাে।

শূন্যতাকে ছুঁয়ে পুনর্বার ফিরে আসে আমার তৃষ্ণার্ত আঙুল।