দেহতত্ত্ব

এতকাল চেনা এই আমার শরীর
সময়-সময় একে আমি নিজেই চিনি না।
একটি কর্কশ হাত
নানান কৌশল করে চন্দনচর্চিত হাতখানি ছুঁলে
আমার স্নায়ুর ঘরে ঘন্টি বাজে, ঘন্টি বাজে।

এ আমার নিজের শরীর
শরীরের ভাষা আমি পড়তে পারি না।
সে নিজেই তার কথা বলে নিজস্ব ভাষায়।
তখন আঙুল, চোখ, এই ঠোঁট, এই মসৃণ পা
কেউই আমার নয়।
এ আমারই হাত
অথচ এ হাত আমি সঠিক চিনি না
এ আমারই ঠোঁট, এ আমার স্তন, জংঘা, উরু
এসবের কোনও পেশি, কোনও রােমকূপ
আমার অধীন নয়, নিয়ন্ত্রিত নয়।

স্নায়ুর দোতলা ঘরে ঘন্টি বাজে
এই পৃথিবীতে আমি তবে কার ক্রীড়নক
পুরুষ না প্রকৃতির?

আসলে পুরুষ নয়
প্রকৃতিই আমাকে বাজায়
আমি তার শখের সেতার।

পুরুষের স্পর্শে আমি
ঘুমন্ত শৈশব ভেঙে জেগে উঠি
আমার সমুদ্রে শুরু হয় হঠাৎ জোয়ার।
রক্তে-মাংসে ভালবাসার সুগন্ধ পেলে
প্রকৃতিই আমাকে বাজায়
আমি তার শখের সেতার।