ঘর-গেরস্থি

দেড়-দু’মাসের ভালবাসায় আমি এখন বিশ্বাসী নই
বাসাে যদি সবটা বাসাে
বছর জুড়ে।

ভাতের সাথে মাংস-মাছের ঝােল না হলে
আদৌ আমার মুখ রােচে না।
গ্রীষ্মকালে ফ্যানের বাতাস, ফ্রিজের পানি
ছ’ইঞ্চি ফোম না হলে আর ঘুম আসে না,
ঘুম তাে কোনও ঘুমপরীদের রূপকথা নয়
যে, ফুটপাতে আর গাছের তলায় স্বপ্নসহ নিদ্রা যাব!

ইট-সুড়কির এ’ একলা ঘরে
আনাজপাতির হিসেব নেওয়া
রান্নাঘরে চুলাের কাছে সমস্ত দিন আমার যাবে,
তুমি শুধু রাত্রিবেলা খেলার ছলে শরীর নেবে
আর ফুরিয়ে গেলে ঘাড় ফেরাবে পাশ বালিশে পা জড়িয়ে অন্যদিকে,
অন্য কোনও নীলাঞ্জনা নারীর জন্য
অদম্য এক তৃষ্ণা নিয়ে স্বপ্ন তােমার তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
ধু ধু কোনও নির্জনতা খুঁজে ফেরে।

এমন জীবন ফেলে রেখে আমিও পারি
নির্বাসনে পাড়ি দিতে। কারণ আমি পুরােটা চাই
খিদে লাগলে দু’মুঠো নয়,
এক থালা ভাত না যদি খাই
আদৌ আমার পেট ভরে না।

(গ্রন্থঃ নির্বাসিত বাহিরে অন্তরে)