গীতবিতান
এটি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর সবগুলো গানের সংকলন গ্রন্থ যা ১৯৩১ সালে (আশ্বিন, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে) কলকাতায় প্রথমবার প্রকাশিত হয় দুই খণ্ডের মাধ্যমে। এতে মোট (তিনটি নাটিকার ৩৬১টি গান ও স্বতন্ত্র ১৮৭১টি গান) ২২৩২টি গান রয়েছে। আমাদের এখানে শুধুমাত্র স্বতন্ত্র গানগুলো উল্যেখ করা হলো যার সংখ্যা ১৮৭১। বানানরীতির ক্ষেত্রে গ্রন্থটির তৃতীয় সংস্করণ অনুসরণ করা হয়েছে।
সূচীপত্র
- ছিল যে পরানের অন্ধকারে
- যে কাঁদনে হিয়া কাঁদিছে সে কাঁদনে সেও কাঁদিল
- আমরা লক্ষ্মীছাড়ার দল ভবের পদ্মপত্রে জল
- ওগো, তোমরা সবাই ভালো
- ভালোমানুষ নই রে মোরা ভালো মানুষ নই
- আমাদের ভয় কাহারে
- আমাদের পাকবে না চুল গো
- পায়ে পড়ি শোনো ভাই গাইয়ে
- ও ভাই কানাই, কারে জানাই দুঃসহ মোর দুঃখ
- কাটাবনবিহারিণী সুর-কানা দেবী
- আমরা না-গান গাওয়ার দল রে
- মোদের কিছু নাই রে নাই, আমরা ঘরে বাইরে গাই
- এবার যমের দুয়োর খোলা পেয়ে ছুটেছে সব ছেলে মেয়ে
- হায় হায় হায় দিন চলি যায়
- ওগো ভাগ্যদেবী পিতামহী, মিটল আমার আশ
- ওর ভাব দেখে যে পায় হাসি, হায় হায় রে
- আমরা খুঁজি খেলার সাথি
- মোদের যেমন খেলা তেমনি যে কাজ জানিস নে কি ভাই
- সব কাজে হাত লাগাই মোরা সব কাজেই
- কঠিন লোহা কঠিন ঘুমে ছিল অচেতন
- আমরা চাষ করি আনন্দে
- তোমরা হাসিয়া বহিয়া চলিয়া যাও
- ওগো পুরবাসী আমি দ্বারে দাঁড়ায়ে আছি উপবাসী
- আমার যাবার সময় হল, আমায় কেন রাখিস ধরে
- ওরে, যেতে হবে, আর দেরি নাই
- আমিই শুধু রইনু বাকি
- সারা বরষ দেখি নে, মা, মা তুই আমার কেমন ধারা
- যাহা পাও তাই লও, হাসিমুখে ফিরে যাও
- মেঘেরা চলে চলে যায়, চাঁদেরে ডাকে ‘আয়, আয়’
- আমি শ্রাবণ-আকাশে ওই দিয়েছি পাতি
- সন্ন্যাসী যে জাগিল ওই, জাগিল ওই
- দুইটি হৃদয়ে একটি আসন পাতিয়া বসো হে হৃদয়নাথ
- সুধাসাগরতীরে হে, এসেছে নরনারী সুধারসপিয়াসে
- উজ্জ্বল করো হে আজি এ আনন্দরাতি
- দুটি প্রাণ এক ঠাঁই তুমি তো এনেছ ডাকি
- সুখে থাকো আর সুখী করো সবে
- দুই হৃদয়ের নদী একত্র মিলিল যদি
- দুজনে যেথায় মিলিছে সেথায় তুমি থাকো, প্রভু
- যে তরণীখানি ভাসালে দুজনে আজি, হে নবীন সংসারী
- শুভদিনে এসেছে দোঁহে চরণে তোমার
- সবারে করি আহ্বান
- আ য় আ য় আয় আমাদের অঙ্গনে অতিথি বালক তরুদল
- মরুবিজয়ের কেতন উড়াও শূন্যে হে প্রবল প্রাণ
- ওহে নবীন অতিথি, তুমি নূতন কি তুমি চিরন্তন
- এসো হে গৃহদেবতা
- ফিরে চল্, ফিরে চল্, ফিরে চল্ মাটির টানে
- আয় রে মোরা ফসল কাটি
- অগ্নিশিখা, এসো এসো, আনো আনো আলো
- এসো এসো এসো প্রাণের উৎসবে
- বিশ্বরাজালয়ে বিশ্ববীণা বাজিছে
- দিনের বিচার করো
- তোমার আনন্দ ওই গো
- বসন্ত আওল রে! মধুকর গুন গুন
- শুন লো শুন লো বালিকা, রাখ কুসুমমালিকা
- হৃদয়ক সাধ মিশাওল হৃদয়ে, কণ্ঠে শুখাওল মালা
- শ্যাম রে, নিপট কঠিন মন তোর
- সজনি সজনি রাধিকা লো, দেখ অবহুঁ চাহিয়া
- বঁধুয়া, হিয়া-পর আও রে
- শুন, সখি, বাজই বাঁশি
- গহন কুসুমকুঞ্জ-মাঝে মৃদুল মধুর বংশি বাজে
- সতিমির রজনী, সচকিত সজনী শূন্য নিকুঞ্জ-অরণ্য
- বজাও রে মোহন বাঁশি
- আজু, সখি, মুহু মুহু গাহে পিক কুহু কুহু
- শ্যাম, মুখে তব মধুর অধরমে হাস বিকশিত কায়
- বাদরবরখন, নীরদগরজন, বিজুলীচমকন ঘোর
- সখি রে, পিরীত বুঝবে কে
- হম, সখি, দারিদ নারী
- মাধব, না কহ আদরবাণী, না কর প্রেমক নাম
- সখি লো, সখি লো, নিকরুণ মাধব মথুরাপুর যব যায়
- বার বার, সখি, বারণ করনু ন যাও মথুরাধাম
- হম যব না রব, সজনী
- কো তুঁহু বোলবি মোয়
- জ্বল্ জ্বল্ চিতা, দ্বিগুণ দ্বিগুণ
- হৃদয়ে রাখো গো, দেবী, চরণ তোমার
- নীরব রজনী দেখো মগ্ন জোছনায়
- ক্ষমা করো মোরে সখী, শুধায়ো না আর
- সখী, আর কত দিন সুখহীন শান্তিহীন
- কত দিন এক সাথে ছিনু ঘুমঘোরে
- নাচ্, শ্যামা, তালে তালে
- বিপাশার তীরে ভ্রমিবারে যাই, প্রতিদিন প্রাতে দেখিবারে পাই
- খেলা কর, খেলা কর্ তোরা কামিনীকুসুমগুলি
- আঁধার শাখা উজল করি হরিত-পাতা-ঘোমটা পরি
- সখী, ভাবনা কাহারে বলে
- কাছে তার যাই যদি কত যেন পায় নিধি
- যে ভালোবাসুক সে ভালোবাসুক সজনি লো
- কে তুমি গো খুলিয়াছ স্বর্গের দুয়ার
- কিছুই তো হল না
- কী করিব বলে, সখা, তোমার লাগিয়া
- না সখা, মনের ব্যথা কোরো না গোপন
- বুঝেছি বুঝেছি সখা, ভেঙেছে প্রণয়
- তুই রে বসন্তসমীরণ তোর নহে সুখের জীবন
- বসন্ত-প্রভাতে এক মালতীর ফুল
- তরুতলে ছিন্নবৃন্ত মালতীর ফুল
- যোগী হে, কে তুমি হৃদি-আসনে
- ভিক্ষে দে গো, ভিক্ষে দে
- আয় রে আয় রে সাঁঝের বা, লতাটিরে দুলিয়ে যা
- প্রিয়ে, তোমার ঢেঁকি হলে যেতেম বেঁচে
- কথা কোস্ নে লো রাই, শ্যামের বড়াই বড়ো বেড়েছে
- ওই জানালার কাছে বসে আছে করতলে রাখি মাথা
- সাধ ক’রে কেন, সখা, ঘটাবে গেরো
- ধীরে ধীরে প্রাণে আমার এসো হে
- তুমি আছ কোন্ পাড়া? তোমার পাই নে যে সাড়া
- দেখো ওই কে এসেছে।- চাও সখী, চাও
- ভালো যদি বাস, সখী, কী দিব গো আর
- ও কেন ভালোবাসা জানাতে আসে ওলো সজনী
- ভালোবাসিলে যদি সে ভালো না বাসে
- হা, কে বলে দেবে সে ভালোবাসে কি মোরে
- কেন রে চাস ফিরে ফিরে চলে আয় রে চলে আয়
- প্রমোদে ঢালিয়া দিনু মন, তবু প্রাণ কেন কাঁদে রে
- সখা, সাধিতে সাধাতে কত সুখ
- এত ফুল কে ফোটালে কাননে
- আমাদের সখীরে কে নিয়ে যাবে রে
- কোথা ছিলি সজনী লো
- ও কী কথা বল সখী, ছি ছি, ও কথা মনে এনো না
- মধুর মিলন। হাসিতে মিলেছে হাসি, নয়নে নয়ন
- মা, একবার দাঁড়া গো হেরি চন্দ্রানন
- মা আমার, কেন তোরে স্নান নেহারি
- ওই আঁখি রে ফিরে ফিরে চেয়ো না
- আজ আসবে শ্যাম গোকুলে ফিরে
- রাজ-অধিরাজ, তব ভালে জয়মালা
- ঝর ঝর রক্ত ঝরে কাটা মুণ্ডু বেয়ে
- উলঙ্গিনী নাচে রণরঙ্গে। আমরা নৃত্য করি সঙ্গে
- থাকতে আর তো পারলি নে মা
- খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে
- একদা প্রাতে কুঞ্জতলে কুঞ্জতলে অন্ধ বালিকা
- কেন নিবে গেল বাতি
- তুমি পড়িতেছ হেসে তরঙ্গের মতো এসে
- আজি উন্মাদ মধুনিশি ওগো
- সে আসি কহিল, ‘প্রিয়ে, মুখ তুলে চাও।’
- এ কি সত্য সকলই সত্য, হে আমার চিরভক্ত
- এবার চলিনু তবে
- বন্ধু, কিসের তরে অশ্রু ঝরে
- ভাঙা দেউলের দেবতা
- যদি জোটে রোজ এমনি বিনি পয়সায় ভোজ
- অভয় দাও তো বলি আমার wish কী
- কত কাল রবে বল’ ভারত রে
- কী জানি কী ভেবেছ মনে
- পাছে চেয়ে বসে আমার মন
- বড়ো থাকি কাছাকাছি
- যারে মরণ-দশায় ধরে
- দেখব কে তোর কাছে আসে
- তুমি আমায় করবে মস্ত লোক
- চির-পুরানো চাঁদ
- স্বর্গে তোমায় নিয়ে যাবে উড়িয়ে
- ভুলে ভুলে আজ ভুলময়
- সকলই ভুলেছে ভোলা মন
- পোড়া মনে শুধু পোড়া মুখখানি জাগে রে
- বিরহে মরিব ব’লে ছিল মনে পণ
- কার হাতে যে ধরা দেব, প্রাণ
- ওগো হৃদয়বনের শিকারী
- ওগো দয়াময়ী চোর, এত দয়া মনে তোর
- চলেছে ছুটিয়া পলাতকা হিয়া
- আমি কেবল ফুল জোগাব
- মনোমন্দিরসুন্দরী! মণিমঞ্জীর গুঞ্জরি
- তোমার কটি-তটের ধটি কে দিল রাঙিয়া
- রাজরাজেন্দ্র জয় জয়তু জয় হে
- আমরা বসব তোমার সনে
- বঁধুয়া, অসময়ে কেন হে প্রকাশ
- কবরীতে ফুল শুকালো
- মলিন মুখে ফুটুক হাসি, জুড়াক দু নয়ন
- ওর মানের এ বাঁধ টুটবে না কি টুটবে না
- আজ আমার আনন্দ দেখে কে
- আর কি আমি ছাড়ব তোরে
- যেখানে রূপের প্রভা নয়ন-লোভ
- এই একলা মোদের হাজার মানুষ দাদাঠাকুর
- বাজে রে বাজে রে ওই রুদ্রতালে বজ্রভেরী
- মোরা চলব না। মুকুল ঝরে ঝরুক, মোরা ফলব না
- পথে যেতে তোমার সাথে সাথে মিলন হল দিনের শেষে
- আমার নিকড়িয়া রসের রসিক কানন ঘুরে ঘুরে
- যখন দেখা দাও নি রাধা, তখন বেজেছিল বাঁশি
- বঁধুর লাগি কেশে আমি পরব এমন ফুল
- মধুঋতু নিত্য হয়ে রইল তোমার মধুর দেশে
- ও তো আর ফিরবে না রে, ফিরবে না আর
- বাজে রে বাজে ডমরু বাজে হৃদয়মাঝে
- বাজে রে বাজে ডমরু বাজে হৃদয়মাঝে
- আমার মনের বাঁধন ঘুচে যাবে
- এতদিন পরে মোরে
- নূতন পথের পথিক হয়ে আসে, পুরাতন সাথি
- কাজ ভোলাবার কে গো তোরা
- শেষ ফলনের ফসল এবার
- বাঁধন কেন ভূষণ-বেশে
- দয়া করো, দয়া করো প্রভু, ফিরে ফিরে
- জয় জয় জয় হে জয় জ্যোতির্ময়
- বাজো রে বাঁশরি, বাজো
- তোমায় সাজাব যতনে কুসুমে রতনে
- নমো নমো শচীচিতরঞ্জন, সন্তাপভঞ্জন
- নহ মা, নহ কন্যা, নহ বধূ
- প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস
- বলেছিল ‘ধরা দেব না’, শুনেছিল সেই বড়াই
- গুরুপদে মন করো অর্পণ
- শোন্ রে শোন্ অবোধ মন
- জয় জয় তাসবংশ-অবতংস
- তোলন-নামন পিছন-সামন
- আমরা চিত্র অতি বিচিত্র
- চিঁড়েতন হর্তন ইস্কাবন
- চলো নিয়ম-মতে
- হা- আ- আ- আই
- হাঁচ্ছোঃ!- ভয় কী দেখাচ্ছ
- ইচ্ছে! ইচ্ছে
- আমরা দূর আকাশের নেশায় মাতাল
- বাহির হলেম আমি আপন ভিতর হতে
- শুনি ওই রুনুঝুনু পায়ে পায়ে নূপুরধ্বনি
- এই তো ভরা হল ফুলে ফুলে ফুলের ডালা
- সুরের জালে কে জড়ালে আমার মন
- কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা
- ভারত রে, তোর কলঙ্কিত পরমাণুরাশি
- অয়ি বিষাদিনী বীণা, আয় সখী
- শোনো শোনো আমাদের ব্যথা দেবদেব
- একি অন্ধকার এ ভারতভূমি
- ঢাকো রে মুখ, চন্দ্রমা, জলদে
- দেশে দেশে ভ্রমি তব দুখগান গাহিয়ে
- এক সূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্রটি মন
- তোমারি তরে, মা, সঁপিনু এ দেহ
- তবু পারি নে সঁপিতে প্রাণ
- কেন চেয়ে আছ, গো মা, মুখপানে
- একবার তোরা মা বলিয়া ডাক
- কে এসে যায় ফিরে ফিরে আকুল নয়ননীরে
- হে ভারত, আজি তোমারি সভায় শুন এ কবির গান
- নব বৎসরে করিলাম পণ লব স্বদেশের দীক্ষা
- ওরে ভাই, মিথ্যা ভেবো না
- আজ সবাই জুটে আসুক ছুটে যে যেখানে থাকে
- গগনের থলে রবি চন্দ্র দীপক জ্বলে
- এ হরিসুন্দর, এ হরিসুন্দর
- আমরা যে শিশু অতি, অতিক্ষুদ্র মন
- মহাসিংহাসনে বসি শুনিছ, হে বিশ্বপিত
- দিবানিশি করিয়া যতন
- কোথা আছ, প্রভু, এসেছি দীনহীন
- কী করিলি মোহের ছলনে
- দেখ চেয়ে দেখ, তোরা জগতের উৎসব
- আজি শুভ দিনে পিতার ভবনে
- বড় আশা ক’রে এসেছি গো
- বর্ষ ওই গেল চলে
- তুমি কি গো পিতা আমাদের
- প্রভু, এলেম কোথায়
- সংসারেতে চারি ধার করিয়াছে অন্ধকার
- কী দিব তোমায়। নয়নেতে অশ্রুধার
- তোমারেই প্রাণের আশা কহিব
- হাতে লয়ে দীপ অগণন
- সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা
- রজনী পোহাইল, চলেছে যাত্রীদল
- আজি এনেছে তাঁহারি আশীর্বাদ
- চলিয়াছি গৃহ-পানে
- দিন তো চলি গেল প্রভু, বৃথা- কাতরে কাঁদে হিয়া
- ভবকোলাহল ছাড়িয়ে
- তাহার প্রেমে কে ডুবে আছে
- তবে কি ফিরিব ম্লানমুখে সখা
- দেখা যদি দিলে ছেড়ো না আর, আমি অতি দীনহীন
- দুখ দূর করিলে, দরশন দিয়ে মোহিলে প্রাণ
- দাও হে হৃদয় ভরে দাও
- দুয়ারে বসে আছি প্রভু, সারা বেলা
- ডেকেছেন প্রিয়তম, কে রহিবে ঘরে
- চলেছে তরণী প্রসাদপবনে, কে যাবে এসো
- পিতার দুয়ারে দাঁড়াইয়া সবে ভুলে যাও অভিমান
- তোমায় যতনে রাখিব হে, রাখিব কাছে
- আইল আজি প্রাণসখা, দেখো রে নিখিলজন
- দুখের কথা তোমায় বলিব না
- তাঁহার আনন্দধারা জগতে যেতেছে বয়ে
- হরি, তোমায় ডাকি, সংসারে একাকী
- আমায় ছ জনায় মিলে পথ দেখায়
- ঘোরা রজনী, এ মোহঘনঘটা
- সুমধুর শুনি আজি, প্রভু, তোমার নাম
- মিটিল সব ক্ষুধা, তাঁহার প্রেমসুধা
- তারে তারো, হরি, দীনজনে
- তব প্রেমসুধারসে মেতেছি
- আমারেও করো মার্জনা
- ফিরো না ফিরো না আজি- এসেছ দুয়ারে
- সবে মিলি গাও রে, মিলি মঙ্গলাচরো
- স্বরূপ তার কে জানে, তিনি অনন্ত মঙ্গল
- তোমারে জানি নে হে, তবু মন তোমাতে ধায়
- এবার বুঝেছি সখা, এ খেলা কেবলই খেলা
- চাহি না সুখে থাকিতে হে, হেরো কত দীনজন কাঁদিছে
- আজ বুঝি আইল প্রিয়তম
- হে মন, তারে দেখো আঁখি খুলিয়ে
- জয় রাজরাজেশ্বর
- আজি রাজ-আসনে তোমারে বসাইব হৃদয়মাঝারে
- হে অনাদি অসীম সুনীল অকূল সিন্ধু
- মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকালমাঝে
- আইল শান্ত সন্ধ্যা
- উঠি চলো সুদিন আইল
- আমারে করো জীবনদান
- রক্ষা করো হে
- মহানন্দে হেরে গো সবে
- প্রভু, খেলেছি অনেক খেলা
- আমি জেনে শুনে তবু ভুলে আছি
- আমি সংসারে মন দিয়েছি, তুমি আপনি সে মন নিয়েছ
- কে জানিত তুমি ডাকিবে আমারে, ছিলাম নিদ্রামগন
- তুমি কাছে নাই ব’লে হেরো, সখা, তাই
- নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে
- মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না
- ওহে জীবনবল্লভ, ওহে সাধনদুর্লভ
- ওগো দেবতা আমার পাষাণদেবতা
- গভীর রাতে ভক্তিভরে কে জাগে আজ
- যাত্রী আমি ওরে
- দুঃখ এ নয়, সুখ নহে গো- গভীর শান্তি এ যে
- সুখের মাঝে তোমায় দেখেছি
- বলো বলো, বন্ধু, বলো তিনি তোমার কানে কানে
- মনের মধ্যে নিরবধি শিকল গড়ার কারখানা
- খেলার সাথি, বিদায়দ্বার খোলো
- যাওয়া-আসারই এই কি খেলা
- বুঝি ওই সুদূরে ডালি মোরে
- কোন্ ভীরুকে ভয় দেখাবি
- হৃদয়-আবরণ খুলে গেল
- মন প্রাণ কাড়িয়া লও হে হৃদয়স্বামী
- শুভ্র প্রভাতে পূর্বগগনে উদিল
- আজি কাঁদে কারা ওই শুনা যায়
- জয় তব হোক জয়
- বিশ্ববিদ্যাতীর্থপ্রাঙ্গণ কর’ মহোজ্জ্বল
- জগতের পুরোহিত তুমি
- তুমি হে প্রেমের রবি আলো করি চরাচর
- শুভদিনে শুভক্ষণে পৃথিবী আনন্দমনে
- দুজনে এক হয়ে যাও, মাথা রাখো একের পায়ে
- তাঁহার অসীম মঙ্গললোক হতে
- নবজীবনের যাত্রাপথে দাও দাও এই বর
- প্রেমের মিলনদিনে সত্য সাক্ষী যিনি
- সুমঙ্গলী বধূ, সঞ্চিত রেখো প্রাণে স্নেহমধু
- ইহাদের করো আশীর্বাদ
- সমুখে শান্তিপারাবার
- একদিন যারা মেরেছিল তাঁরে গিয়ে
- আলোকের পথে, প্রভু, দাও দ্বার খুলে
- ওই মহামানব আসে
- হে নূতন, দেখা দিক আর-বার
- গিয়াছে সে দিন যে দিন হৃদয়
- মন হতে প্রেম যেতেছে শুকায়ে
- কেন গো সে মোরে যেন করে না বিশ্বাস
- তোরা বসে গাঁথিস মালা, তার গলায় পরে
- বলি, ও আমার গোলাপবালা
- গোলাপ ফুল ফুটিয়ে আছে
- পাগলিনী, তোর লাগি
- ওই কথা বলো, সখী, বলো আরবার
- শুন নলিনী, খোলো গো আঁখি
- ও কথা বলো না তারে
- সোনার পিঞ্জর ভাঙিয়ে আমার
- হৃদয় মোর কোমল অতি
- হৃদয়ের মণি আদরিণী মোর, আয় লো কাছে আয়
- খুলে দে তরণী, খুলে দে তোরা
- এ কী হরষ হেরি কাননে
- আমি স্বপনে রয়েছি ভোর
- গেল গেল নিয়ে গেল এ প্রণয়স্রোতে
- হাসি কেন নাই ও নয়নে
- এক বার বলো, সখী, ভালোবাস মোরে
- কত বার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া
- কেমনে শুধিব বলো তোমার এ ঋণ
- এ ভালোবাসার যদি দিতে প্রতিদান
- ওকি সখা, কেন মোরে করো তিরস্কার
- ওকি সখা, মুছ আঁখি। আমার তরেও কাঁদিবে কি
- হা সখী, ও আদরে আরো বাড়ে মনোব্যথা
- ওকে কেন কাঁদালি
- এত দিন পরে সখী, সত্য সে কি হেথা ফিরে এল
- চরাচর সকলই মিছে মায়া, ছলনা
- তারে দেহে গো আনি
- সাধের কাননে মোর রোপণ করিয়াছিনু
- সেই যদি সেই যদি ভাঙিল এ পোড়া হৃদি
- দুজনে দেখা হল মধুযামিনী রে
- দেখায়ে দে কোথা আছে একটু বিরল
- পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়
- গা সখী, গাইলি যদি, আবার সে গান
- ও গান আর গাস্ নে, গাস নে, গাস্ নে
- সকলই ফুরাইল। যামিনী পোহাইল
- ফুলটি ঝরে গেছে রে
- সখা হে, কী দিয়ে আমি তুষিব তোমায়
- বলি গো সজনী, যেয়ো না, যেয়ো না
- সহে না যাতনা দিবন গণিয়া গণিয়া বিরলে
- যাই যাই, ছেড়ে দাও- স্রোতের মুখে ভেসে যাই
- অসীম সংসারে যার কেহ নাই কাঁদিবার
- অনন্তসাগরমাঝে দাও তরী ভাসাইয়া
- ফিরায়ো না মুখখানি
- হিয়া কাঁপিছে সুখে কি দুখে সখী
- দাড়াও, মাথা খাও, যেয়ো না সখা
- কে যেতেছিস, আয় রে হেথা
- আবার মোরে পাগল করে দিবে কে
- জীবনে এ কি প্রথম বসন্ত এল, এল! এল রে
- কাছে ছিলে দূরে গেলে- দূর হতে এসো কাছে
- যদি ভরিয়া লইবে কুম্ভ এসো ওগো
- বড়ো বিস্ময় লাগে হেরি তোমারে
- আজি মোর দ্বারে কাহার মুখ হেরেছি
- বৃথা গেয়েছি বহু গান কোথা সঁপেছি মন প্রাণ
- তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা তুমি আমার নিভৃত সাধনা
- বিধি ডাগর আঁখি যদি দিয়েছিল
- বঁধু, মিছে রাগ কোরো না, কোরো না
- কার হাতে যে ধরা দেব হায়
- আমাকে যে বাঁধবে ধরে, এই হবে যার সাধন
- বুঝি এল, বুঝি এল ওরে প্রাণ
- আজ বুকের বসন ছিঁড়ে ফেলে
- তরুণ প্রাতের অরুণ আকাশ
- জলে-ডোবা চিকন শ্যামল কচি ধানের পাশে
- স্বপন-লোকের বিদেশিনী কে যেন এলে কে
- হৃদয় আমার, ওই বুঝি তোর ফাল্গুনী ঢেউ আসে
- ওরে বকুল, পারুল, ওরে শালপিয়ালের বন
- হিয়া-মাঝে গোপনে হেরিয়ে তোমারে
- যেন কোন্ ভুলের ঘোরে চাঁদ চলে যায়
- অবেলায় যদি এসেছ আমার বনে দিনের বিদায়ক্ষণে
- তুমি তো সেই যাবেই চ’লে কিছু তো না রবে বাকি
- আপনহারা মাতোয়ারা আছি তোমার আশা ধরে
- কালো মেঘের ঘটা ঘনায় রে আঁধার গগনে
- ওগো জলের রানী
- সন্ন্যাসী, ধ্যানে নিমগ্ন নগ্ন তোমার চিত্ত
- চরণরেখা তব যে পথে দিলে লেখি
- গন্ধরেখার পন্থে তোমার শূন্যে গতি
- এবার বুঝি ভোলার বেলা হল
- কী ধ্বনি বাজে গহঞ্চেতনামাঝে
- ওরা অকারণে চঞ্চল
- আয় তোরা আয় আয় গো
- ও জলের রানী
- ভয় নেই রে তোদের নেই রে ভয়
- ঝাঁকড়া চুলের মেয়ের কথা
- মনে হল পেরিয়ে এলেম অসীম পথ
- জানি জানি এসেছ এ পথে মনের ভুলে
- কী বেদনা মোর জানো সে কি তুমি
- আমার কী বেদনা সে কি জানো
- চলে যাবি এই যদি তোর মনে থাকে
- আমরা ঝ’রে-পড়া ফুলদল ছেড়ে এসেছি
- উদাসিনী সে বিদেশিনী কে নাই বা তারে জানি
- বারে বারে ফিরে ফিরে তোমার পানে
- রিমিকি ঝিমিকি ঝরে ভাদরের ধারা
- আজি কোন্ সুরে বাঁধিব দিন-অবসান-বেলারে
- প্রেম এসেছিল নিঃশব্দচরণে
- নির্জন রাতে নিঃশব্দ চর পাতে কেন এলে
- এসো এসো ওগো শ্যামছায়াঘন দিন, এসো এসো
- শ্রাবণের বারিধারা ঝরিছে বিরামহারা
- যারা বিহান-বেলায় গান এনেছিল আমার মনে
- পাখি, তোর সুর ভুলিস নে
- আমার হারিয়ে যাওয়া দিন