গীতিমাল্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ যা ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১১১টি কবিতা গীতিমাল্য হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্ত কোনোটিরই শিরোনাম না দিয়ে সংখ্যা দিয়ে ক্রমান্বয়ে লিখা হয়েছে। তাই প্রথম লাইনকে শিরোনাম হিসেবে দেখানো হলো।
সূচীপত্র
- রাত্রি এসে যেথায় মেশে
- আজ প্রথম ফুলের পাব প্রসাদখানি
- ওগো শেফালি-বনের মনের কামনা
- স্থিরনয়নে তাকিয়ে আছি
- ভাগ্যে আমি পথ হারালেম
- আমি হাল ছাড়লে তবে
- আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ
- কোলাহল তো বারণ হল
- নামহারা এই নদীর পারে
- কে গো তুমি বিদেশী
- ওগো পথিক, দিনের শেষে
- এই দুয়ারটি খোলা
- এই যে এরা আঙিনাতে
- অনেক কালের যাত্রা আমার
- আমি আমায় করব বড়ো
- এবার ভাসিয়ে দিতে হবে আমার এই তরী
- যেদিন ফুটল কমল কিছুই জানি নাই
- এখনো ঘোর ভাঙে না তোর যে
- ঝড়ে যায় উড়ে যায় গো
- তুমি একটু কেবল বসতে দিয়ো কাছে
- এবার তোরা আমার যাবার বেলাতে
- কে গো অন্তরতর সে
- আমারে তুমি অশেষ করেছ
- হার-মানা হার পরাব তোমার গলে
- এমনি করে ঘুরিব দূরে বাহিরে
- পেয়েছি ছুটি, বিদায় দেহো, ভাই
- আজিকে এই সকালবেলাতে
- প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে
- তব রবিকর আসে কর বাড়াইয়া
- সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি
- কে নিবি গো কিনে আমায়, কে নিবি গো কিনে
- তোমারি নাম বলব নানা ছলে
- অসীম ধন তো আছে তোমার
- এ মণিহার আমায় নাহি সাজে
- ভোরের বেলায় কখন এসে
- প্রাণে খুশির তুফান উঠেছে
- জীবন যখন ছিল ফুলের মতো
- ভেলার মতো বুকে টানি
- বাজাও আমারে বাজাও
- জানি গো দিন যাবে
- নয় এ মধুর খেলা
- যদি প্রেম দিলে না প্রাণে
- নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে ফুল-বনে
- আমার মুখের কথা তোমার নাম দিয়ে দাও ধুয়ে
- আমার যে আসে কাছে, যে যায় চলে দূরে
- কেবল থাকিস স’রে স’রে
- লুকিয়ে আস আঁধার রাতে
- আমার কণ্ঠ তাঁরে ডাকে
- আমার সকল কাঁটা ধন্য ক’রে
- গাব তোমার সুরে
- প্রভু, তোমার বীণা যেমনি বাজে
- তোমায় আমায় মিলন হবে ব’লে
- জীবন-স্রোতে ঢেউয়ের ‘পরে
- কতদিন যে তুমি আমায়
- বসন্তে আজ ধরার চিত্ত হল উতলা
- সভায় তোমার বাকি সবার শাসনে
- যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা
- বেসুর বাজে রে
- তুমি জান, ওগো অন্তর্যামী
- সকল দাবি ছাড়বি যখন
- রাজপুরীতে বাজায় বাঁশি
- মিথ্যা আমি কী সন্ধানে
- আমার ভাঙা পথের রাঙা ধুলায়
- আমার ব্যথা যখন আনে আমায়
- কার হাতে এই মালা তোমার পাঠালে
- এত আলো জ্বালিয়েছ এই গগনে
- যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙল ঝড়ে
- শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে
- তোমার কাছে শান্তি চাব না
- দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে
- আমায় ভুলতে দিতে নাইকো তোমার ভয়
- জানি নাই গো সাধন তোমার বলে কারে
- ওদের কথায় ধাঁদা লাগে
- এই আসা-যাওয়ার খেয়ার কূলে
- জীবন আমার চলছে যেমন
- হাওয়া লাগে গানের পালে
- আমারে দিই তোমার হাতে
- আরো চাই যে, আরো চাই গো
- আমার বাণী আমার প্রাণে লাগে
- তুমি যে চেয়ে আছ আকাশ ভ’রে
- তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি
- হে অন্তরের ধন
- তুমি যে এসেছ মোর ভবনে
- আপনাকে এই জানা আমার
- বল তো এই বারের মতো
- আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে
- ওদের সাথে মেলাও, যারা
- সকাল-সাঁজে
- তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে
- আমায় বাঁধবে যদি কাজের ডোরে
- কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না
- আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে
- প্রাণে গান নাই, মিছে তাই ফিরিনু যে
- কেন তোমরা আমায় ডাক
- সেদিনে আপদ আমার যাবে কেটে
- মোর প্রভাতের এই প্রথমখনের
- তোমার মাঝে আমারে পথ ভুলিয়ে দাও গো
- তোমার আনন্দ ঐ এল দ্বারে
- তার অন্ত নাই গো যে আনন্দে গড়া আমার অঙ্গ
- তুমি আমার আঙিনাতে ফুটিয়ে রাখ ফুল
- আমার যে সব দিতে হবে, সে তো আমি জানি
- এই লভিনু সঙ্গ তব
- এই তো তোমার আলোক-ধেনু
- চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে
- গান গেয়ে কে জানায় আপন বেদনা
- এরে ভিখারি সাজায়ে কী রঙ্গ তুমি করিলে
- সন্ধ্যা হল গো
- আকাশে দুই হাতে প্রেম বিলায় ওকে
- আজ ফুল ফুটেছে মোর আসনের ডাইনে বাঁয়ে
- আমার প্রাণের মাঝে যেমন ক’রে
- মোর সন্ধ্যায় তুমি সুন্দরবেশে এসেছ