জীবন পথে
এটি কবি কামিনী রায়-এর জীবদ্দশায় প্রকাশিত একটি সনেট কবিতাভিত্তিক কাব্যগ্রন্থ যা ১৯৩০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হাজরা রোড, বালীগঞ্জ, কলকাতায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এর প্রকাশক ছিলেন শ্রীনির্ম্ম্মলেন্দু রায়, বি-এ। প্রিন্টারে ছিলেন শ্রীনরেন্দ্রনাথ মুখার্জি, বি-এ। এতে কামিনী রায়ের অপ্রকাশিত সনেটগুলি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশতের মতে "ইহার অল্প কয়েকটি ব্যতীত আর সমস্তই অনেক বৎসর পূর্ব্বের রচনা এবং রচয়িত্রীর স্মৃতি পুস্তকের গোটাকতক ছিন্ন পত্রেরই অনুরূপ।" এতে রচিত কবিতাগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, "সহযাত্রা, একলা ও ঝরা ফুল"। প্রকাশক সূচিপত্রের প্রথম পঁচিশটি কবিতাকে "সহযাত্রা", ছাব্বিশ থেকে বেয়াল্লিশতম কবিতাকে "একলা" এবং এরপরের কবিতাগুলোকে "ঝরা ফুল" অংশে বিভক্ত করেছেন। প্রকাশকের মতে "সহ-যাত্রার ও একলার কবিতাগুলি এক সূত্রে গ্রথিত মালার ন্যায়; শেষাংশেরগুলি কতকটা অসম্বদ্ধ, অথবা ছিন্নসূত্র মালার স্খলিত ফুলের মত। এই জন্যই ইহার নাম ঝরা ফুল হইল। বস্তুতঃ 'অক্ষয় প্রদীপ' হইতে আরম্ভ করিয়া ছয়টি সনেট অশোক সঙ্গাতেরই পরিশিষ্ট।" সহযাত্রা ও একলা অংশের কবিতাগুলোর প্রথম লাইনকে শিরোনাম করা হয়েছে। তবে "ঝরা ফুল" অংশে প্রতিটি কবিতায় কবি প্রদত্ত নাম রয়েছে তাই সেগুলো কবিতার নামে উল্ল্যেখ করা হলো। গ্রন্থটিতে মোট ৬৪টি কবিতা রয়েছে।
সূচীপত্র
- দূরে ছিন্ন, প্রাণপণ সাধনার ফলে
- দূর হতে যবে মোরে ভালবাসা দিতে
- কহিলে- তোমারি তরে এসেছি আবার
- আমি স্বপনের রাজ্যে ভ্ৰমি নিশি দিন
- কহিলে- প্রণয়ে মোর কর গো প্রত্যয়
- কহিনু- সাৰ্থক হোক্ তোমার প্রণয়
- আজ কিছু সুধায়োনা মোরে
- আঁচল ভরিয়া আনি নানা পত্ৰ ফুলে
- ফুল যবে ফোটে ভরি উদ্যান, কানন
- কি পেয়েছি, কি দিয়েছি, লয়ে কি সঞ্চয়
- শ্রাবণের কংসাবতী প্লাবি দুই তীর
- চলিয়াছি এক সাথে, তবু যদি বাজে
- হাতে রহিয়াছে হাত, শিথিল বন্ধন
- আপনারে বারবার বিরলে সুধাই
- তবু হাতে থাক্ হাত, চলি পাশাপাশি
- কি আর কহিব আমি, যদি অবসান
- এত দিন পরে মোরে হেরিলে, শোভন
- কবিতা সঙ্গীত সম ছন্দে আর সুরে
- পড়িতে চাহিনা বাঁধা বাসনার পাশে
- এ নহে সে মান, প্রিয়, কিশোরী কিশোর
- তোমারে বেদনা দিতে চাহি নাই আমি
- জানিনা, অচেনা পথ চলিতে চলিতে
- গান শুনে তবে মোরে ভালবেসেছিলে
- আমারে কেমনে আমি খুলিয়া দেখাই
- হে সহযাত্রিন্ আজ দ্বাদশ বৎসর
- সন্ধ্যা আসিতেছে লয়ে কেবলি আঁধার
- চিরদিন শাস্তিহীন, পরিশ্রান্ত দেহ
- যে দেশে গিয়াছ তুমি, হলেও নূতন
- যখন দুর্গম পথ চলেছি দুজন
- শোকেও ছিল না তব বিরাম কর্ম্মের
- যথাকালে না পৌঁছিলে মোর লিপিখানি
- তখন চক্ষের দেখা দেখিয়াছ, ধীর
- আর নাহি মাঝখানে কিছু দুজনার
- যত প্রেম, যত মান তুমি মোরে দিলে
- বিশ্বজিৎ যজ্ঞ করি হয়েছে ভিখারী
- ব্যথা যদি দিয়ে থাক শতগুণ তার
- ভুলিবার ভুলাবার কোথা অবসর
- মাগিয়াছি দেবতার কাছে প্রতিদিন
- সমাপ্ত তোমার পাঠ না ফুরাতে বেলা
- বাণীর মন্দির হতে ডেকে নিয়ে এলে
- দীর্ঘ সপ্তদশ বর্ষ আসিয়াছি চলি
- প্রিয়তম, বিচ্ছেদের আছে অবসান
- বহুর ভিতরে
- ভাবুকের ভুল
- শিশু সেতু
- মাতৃ-জন্ম
- লোকান্তরিতা সোদরার প্রতি ১
- লোকান্তরিতা সোদরার প্রতি ২
- সিন্ধুর প্রতি
- অভব্য দৈব
- অভিমানে
- অনন্ত আশ্রয়
- ভিক্ষা ত্যাগ
- অক্ষয় প্রদীপ
- মানসী প্রতিমা
- বসন্তাগমে
- বিচ্ছেদের সফলতা
- নিত্য স্মৃত
- মাঘের চতুর্থ দিন
- কন্যা বিরহে
- কন্যা বুলবুলের প্রতি
- অদ্ভুত প্ৰেম
- ঘোর রহস্য
- ঝরা ফুল