নজরুল গীতিকা
এটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর একটি গীতিকাব্য যা ১৯৩০ সালের ২রা সেপ্টেম্বর (১৮ই ভাদ্র, ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ) প্রথম প্রকাশিত হয়। এর প্রকাশক ছিলেন কালীকৃষ্ণ চক্রবর্তী, শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী অ্যাণ্ড সন্স, কলকাতা। এর মুদ্রক ছিলেন মনোরঞ্জন চক্রবর্তী, কলকাতা। এ গ্রন্থে ঠুংরী, হাসির গান, গজল, ধ্রুপদ, কীর্ত্তন, বাউল, ভাটিয়ালী, টপ্পা এবং খেয়াল সহ বিভিন্ন ধরনের গান সন্নিবেশিত হয়েছে। নজরুল গীতিকা গ্রন্থের কয়েকটি গান নজরুল রচিত "বুলবুল প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড" "বনগীতি", "মহুয়ার গান" "চোখের চাতক" সহ অন্য গ্রন্থেও পাওয়া যায়। গ্রন্থের প্রথমে উৎসর্গ গানটি ছাড়াও এতে মোট ১২৭টি গান রয়েছে।
সূচীপত্র
- অমর-কানন
- উৎসর্গ
- সৃজন ভোরে প্রভু মোরে
- পিও শারাব পিও
- আজ বাদে কাল আসবে্ কিনা
- কোন্ মাটিতে আমার কায়া
- আরো নূতন নূতনতর শোনাও গীতি গানেওয়ালা
- আমরা পানের নেশার পাগল
- ভোরের হাওয়া! ধীরে ধীরে ব’লো গো সেই হরিণিরে
- আজ সুদিনের আসল ঊষা, নাই অভাব আজ নাই অভাব
- আস্ল যখন ফুলের ফাগুন, গুল্-বাগে ফুল চায় বিদায়
- ঐ লুকায় রবি লাজে মুখ হেরি’ মম প্রিয়ার
- দোষ দিওনা প্রবীণ জ্ঞানী হেরি’ খারাব শারাব-খোর
- চাঁদের মতন রূপ পেল রূপ তোমার রৌশন্ রূপ-বিভায়
- দুর্গম গিরি, কান্তার মরু, দুস্তর পারাবার
- আমরা শক্তি আমরা বল, আমরা ছাত্রদল
- টলমল টলমল পদভরে
- যে দুর্দিনের নেমেছে বাদল
- চল্ চল্ চল্
- বাজল কিরে ভোরের সানাই
- আসিলে কে গো অতিথি উড়ায়ে নিশান সোনালি
- অগ্রপথিক হে সেনাদল
- জাগো অনশন-বন্দী ওঠ রে যত
- কোন্ অতীতের আঁধার ভেদিয়া আসিলে আলোক-জননী
- তোরা সব জয়ধ্বনি কর
- জাগো নারী জাগো বহ্নি-শিখা
- মোরা ঝন্ঝার মত উদ্দাম
- ভোরের হাওয়া এলে
- কোথা চাঁদ আমার
- আধো ধরণী আলো আধো আঁধার
- একডালি ফুলে ওরে সাজাব কেমন ক’রে
- নাম-হারা ঐ গাঙের পারে বনের কিনারে
- তুমি আমায় ভালোবাসো তাই তো আমি কবি
- আমি শ্রান্ত হয়ে আসব যখন পড়বো দোরে ট’লে
- আজ চোখের জলে প্রার্থনা মোর শেষ বরষের শেষে
- ছাড়িতে পরান নাহি চায় তবু যেতে হবে হায়
- আঁধার রাতে কে গো একেলা
- আমার কোন কূলে আজ ভিড়ল তরী
- কি হবে জানিয়া বল কেন জল নয়নে
- রেশ্মি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিম্ঝিমিয়ে মরম-কথা
- বেসুর বীণায় ব্যথার সুরে
- দুলে আলো-শতদল টলমল টলমল
- পথে পথে ফেরো সাথে মোর বাঁশরীওয়ালা
- বউ কথা কও, বউ কথা কও
- আজি বাদল ঝরে মোর একেলা
- রংমহলের রংমশাল মোরা
- এই নীরব নিশীথ রাতে
- কোন্ মরমীর মরম-ব্যথা আমার বুকে বেদনা হানে
- আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন
- আজ নতুন ক’রে পড়লো মনে মনের মতনে
- আদর-গরগর বাদর দরদর
- কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া
- আমি কী সুখে লো গৃহে রবো
- নিরুদ্দেশের পথে যেদিন প্রথম আমার যাত্রা হলো শুরু
- ঐ ঘাসের ফুলে মটর-শুঁটির ক্ষেতে
- কোন্ সুদূরের চেনা বাঁশীর
- আমার গহিন জলের নদী
- আমার ‘সাম্পান’ যাত্রী না লয়
- পউষ এলো গো
- বেলা-শেষে উদাস পথিক ভাবে
- আমি ছন্দ ভুল চির-সুন্দরের
- হিন্দোলি হিন্দোলি ওঠে নীল সিন্ধু
- দুলে চরাচর হিন্দোল-দোলে
- আমি তুরগ ভাবিয়া মোরগে চড়িনু
- যদি শালের বন হ’ত শালার বোন
- ডুবু ডুবু ধর্ম-তরী ফাট্ল মাইন
- নাচে মাড়োবার বালা, নাচে তাকিয়া
- থাকিতে চরণ মরণে কি ভয়
- বদনা-গাডুতে গলাগলি করে
- ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর বাজে ঝনঝন
- নাইয়া কর পার
- মোরা ছিনু একেলা, হইনু দু’জন
- নতুন নেশার আমার এ মদ
- খোলো খোলো খোলো গো দুয়ার
- ভরিয়া পরাণ শুনিতেছি গান
- আজি ঘুম নহে নিশি জাগরণ
- চাঁদ হেরিছে চাঁদ-মুখ তার সরসীর আরশিতে
- আজকে দেখি হিংসা-মদের মত্ত বারণ-রণে
- পরজনমে দেখা হবে প্রিয়
- পথের দেখা এ নহে গো বন্ধু
- পথিক ওগো চলতে পথে তোমায় আমায় পথের দেখা
- মাধবী-তলে চলো মাধবিকা-দল
- দেখা দাও, দাও দেখা, ওগো দেবতা
- বাজায়ে জল-চুড়ি কিঙ্কিণী
- জাগো, জাগো, খোলো গো আঁখি
- ওগো সুন্দর আমার
- জনম জনম গেল আশা-পথ চাহি
- এলে কী শ্যামল পিয়া কাজল মেঘে
- চল সখি জল নিতে চল ত্বরিতে
- ঝরিছে অঝোরে বরষার বারি
- আসিলে কে অতিথি সাঁঝে
- ঘেরিয়া গগন মেঘ আসে
- ঘোর তিমির ছাইল
- কার বাঁশরি বাজে মুলতান-সুরে
- কে তুমি দূরের সাথী
- আজি এ শ্রাবণ-নিশি কাটে কেমনে
- তুমি মলিন বসে থাক যখন, সবার চেয়ে মানায়
- বাগিচার বুলবুলি তুই
- আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে হায়
- বসিয়া বিজনে কেন একা মনে
- ভুলি কেমনে আজো যে মনে
- কে বিদেশি বন-উদাসী
- করুণ কেন অরুণ আঁখি
- এত জল ও কাজল চোখে
- দুরন্ত বায়ু পুরবইয়াঁ
- নিশি ভোর হলো জাগিয়া পরান-পিয়া
- কেন দিলে এ কাঁটা যদি গো কুসুম দিলে
- সখী, বোলো-বঁধূয়ারে নিরজনে
- নহে নহে প্রিয়, এ নয় আঁখি-জল
- এ আঁখি-জল মোছো পিয়া
- রুমুঝুমু রুমুঝুম্
- আজি এ কুসুম-হার সহি কেমনে
- গরজে গম্ভীর গগনে কম্বু
- হাজার তারার হার হয়ে গো
- স্মরণ-পারের ওগো প্রিয়
- কে শিব-সুন্দর শরত-চাঁদ-চূড়
- কেন আন ফুল-ডোর আজি বিদায় বেলা
- কেমনে রাখি আঁখি-বারি চাপিয়া
- কানন গিরি সিন্ধু পার ফিরনু পথিক দেশ-বিদেশ
- তরুণ প্রেমিক! প্রণয়-বেদন
- মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর
- কেউ ভোলেনা কেউ ভোলে
- যেদিন ল’ব বিদায়
- সাজিয়াছ যোগী বলো কার লাগি
- মুসাফির! মোছ্ এ আঁখি-জল
- এ নহে বিলাস বন্ধু ফুটেছি জলে কমল
- ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায় আগুন জ্বালায়
- রে অবোধ! শূন্য শুধু শূন্য