অন্তর্যামী
এটি চিত্তরঞ্জন দাশ-এর একটি কাব্যগ্রন্থ যা ১৯১৪ সালে (১৩২১ বঙ্গাব্দে) কলকাতায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এর প্রকাশক ছিলেন শিশির কে. দত্ত, মুদ্রণে কার্তৃক চন্দ্র বোস। গ্রন্থটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ইউ রয় এণ্ড সন্স প্রিণ্টার্স, কলকাতা থেকে। কবি এই বইতে কোনো কবিতার শিরোনাম না দিয়ে সংখ্যার ক্রমান্বয়ে লিখেছেন। তাই এখানে প্রতিটি কবিতার প্রথম লাইনকে কবিতার টাইটেল হিসেবে উপস্থাপণ করা হলো। বইটিতে মোট ৪২টি কবিতা রয়েছে।
সূচীপত্র
- কেমনে লাগিয়া গেছ, মন-তটে
- যখনি দেখিতে নারি, অন্ধকার আসে
- ঘুরিতে ঘুরিতে আজ জীবনের অন্ধকারে
- যে পথেই ল’য়ে যাও যে পথেই যাই
- এ পথেই যাব বঁধু? যাই তবে যাই
- ভরা প্রাণে আজ আমি যেতেছি চলিয়া
- কেমন ক’রে লুকিয়ে থাক এত কাছে মোর
- ক্ষম অভিমান বঁধু ক্ষম অভিমান
- কাঁদিব না মুখে বলি, আঁখি নাহি মানে
- মরম আঁধারে বঁধু! প্রদীপ জ্বালাও
- কোন ছায়ালোক হ’তে প্রাণের আড়ালে
- কোথা ওই ছায়ালোক কোথা প্রাণ খানি
- ওই ছায়ালোকে ভাসে নিভৃত মন্দির
- নাহি মেঘ, তবু যেন ছুটা ছুটী করে
- ওই ছায়া মন্দিরের কোথারে দুয়ার
- যেতে হবে যেতে হবে যেতে হবে মোর
- পথ খানি লাগি প্রাণ ইতি উতি চায়!
- তুমি হাসিতেছ বঁধু! তাই মনে হয়
- পথের লাগিয়া মন মন-পথ-বাসী
- সব তার ছিঁড়ে গেছে! এক খানি তার
- সে পথের হইতাম ধূলি কণা যদি
- ধূলায় ধূসর তার চরণ তলায়
- কি আর কহিব বঁধু! আমি যে পাগল
- একি? একি? ওই বুঝি, সেই পথ ভূমি?
- লও সে অঞ্জলি লও পরাণ বঁধু হে
- শুভ লগ্নে আজ তবে, যাত্রা করিলাম
- বাজারে বাজারে তবে! বাজা জয় ডঙ্কা
- কি আনন্দে ভরপুর হৃদয় আমার
- ওই যে কার গীতধ্বনি জয়ধ্বনির মত
- তোমার আছে অনেক সুর, একটি সুর দাও
- তুমি গাও একবার! আমি গাই পুনঃ
- তুমি হেসে হেসে বঁধু! কর গোলমাল
- এবার তবে চলিলাম সুর্টি করে বুকে
- পথের মাঝে এত কাঁটা! আগে নাহি জানি
- তোমার পথে এত কাঁটা! আগে নাহি জানি
- কাঁটার জ্বালায় জ্বলে মরি, বঁধু হে আবার!
- সে দিনের গানগুলি মনে ক’রেছিনু
- ক্ষণে ক্ষণে বাঁচে প্রাণ! ক্ষণে ক্ষণে মরে
- এস আমার আঁধার ঘেরা! এস ভয়হারী
- এস আমার মন-বাসে টিপি টিপি পাও
- এস মন-বন-বাসে! এস বনমালী
- এস আমার প্রাণের বঁধু! এস করুণ আঁখি