পাণ্ডুলিপির কবিতা-১৪
"পাণ্ডুলিপির কবিতা-১৪" কবি জীবনানন্দ দাশ এর একটি কাব্যগ্রন্থ যা ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়। এটি সম্পাদনা করেছেন ভূমেন্দ্র গুহ ও প্রকাশক ছিলেন প্রিয়ব্রত দেব। কবির মৃত্যুর পর ১৯৫৮ সালে সম্পাদক ভূমেন্দ্র গুহ কবির বাড়ি থেকে ট্রাঙ্ক ভর্তি কিছু পাণ্ডুলিপি তার বাসায় নিয়ে সংগ্রহে রাখেন যেখানে ১৪টি পাণ্ডুলিপি ছিলো। ১৯৯৪ সালে কবির মৃত্যুর প্রায় ৫০ বছর পর কবির কন্যা মঞ্জুশ্রীর কাছ থেকে পাওয়া ৪৮টি কবিতার খাতার সমন্বয়ে জীবনানন্দের অপ্রকাশিত সব কবিতা সংগ্রহ করে মোট ১৪টি 'পাণ্ডুলিপির কবিতা' নামের কবিতাগ্রন্থ সম্পাদনা করেন। এটি কবিতাগ্রন্থ হিসেবে প্রকাশিত সেসব পাণ্ডুলিপির ১৪তম কবিতাগ্রন্থ যেখানে মোট ১২০টি কবিতা রয়েছে।
সূচীপত্র
- কোনও এক জ্ঞানময়
- সর্বদাই পৃষ্ঠপটে রয়ে গেছে
- আত্মার মৃত্যু হয়ে যায়
- যেইখানে আত্মা ভয় পায়
- সময়ের উলঙ্গ পাহাড়
- আকাশরেখার পারে
- সফল মুহূর্ত
- একটি পুরোনো কবিতা
- সেই সব লোক আমি ভালোবাসি
- আজ এই ভোরবেলা
- ফাল্গুনের বিকেলবেলায়
- কার্তিকের ভোরবেলা
- নীলিমা ও পৃথিবীর মাঝখানে
- আকাশ নীলাভ আজ
- কলেজ স্কোয়ারে রাত্রি
- পৃথিবী বিস্তৃত আজ
- নিবিড় সাদা ঘোড়া
- এই সব গাঢ় ঘোড়াদের
- সেইখানে রয়ে গেছে
- দুপুরের রোদ
- দূর থেকে চোখ রেখে
- হয় নি কোনও কথা
- যখন সে এক দিন
- তাহার পিছনে ঘুরে
- গন্তব্যের অবিচল অকৃতিমতায়
- যখন প্রেমিক তার শরীরকে
- নতুন শহরে
- ইলশেগুঁড়ির বৃষ্টি
- এক দিন মনে হত
- অনেক ভূখণ্ড থেকে ফিরে
- সে কোন শতক এই জানি না
- ক্রমেই কলের শব্দ বেজে ওঠে
- মহানুভব আলোর ভিতরে
- ধানের পেলব শীর্ষ
- ভোরের বেলা জানালার পাশে
- সপ্রতিভ লোক সব
- সোনালি হেঁয়ালি
- তেমনই নিজের মতো রয়ে গেছে
- যেই সব ভোর
- আজ এই ভোরবেলা
- লীলা
- লর্ড এভারগ্রীন
- হৃদয়ে ঢের কথা আছে
- পৃথিবীর নদীদের হৃদয়ের কাছে
- পৃথিবীর সাধারণ মেয়েলোক
- কোনও কথা নেই
- স্তাবক-সমাজ
- সারা-দিন দিবারৌদ্রে
- ডেইডেলাস
- দেশ নেমে গেছে বঙ্গোপসাগরে
- বাতাসের ধোঁয়া
- আমাদের সমুদ্র ঘিরেছে
- এক পৃথিবীর মৃত্যু
- একটি শতাব্দী আজ
- শতাব্দী মুমূর্ষু হলে
- এইখানে ধর্মমন্দিরের
- মির্চিল সাহেবের উক্তি
- মানুষের মৃত্যু ছিল যত দিন
- অন্য সব প্রেমিকেরা
- কালের করাল ঢেউয়ে
- সেই এক হেমন্ত ঋতু
- এই জীবনের পথে
- কৃষ্ণচূড়ার পাতা উড়ে যায়
- অপরাহ্নে
- অতীব নিঃসক্ত পরিবার
- পৃথিবীর আলো দেখে
- অনেক সময় পার হয়ে
- স্বতই দরিদ্রলোক
- সরাই-সমাজ
- অসঙ্গত পৃথিবীর অনেক মানুষ
- মৃত্যুই সন্তাপ
- কোথাও বিরতি নিয়ে ব’সে থেকে
- যুধিষ্ঠির চ’লে গেলে
- শীতের কুয়াশা
- মানুষের প্রাণের সূচনা
- এক দিন না ভেবে
- নক্ষত্রের আপন
- এক জন ভাবিতের গোলকধাঁধা
- এখন কে যাবে আর বনের ভিতরে
- বড়ো-বড়ো সাদা মেঘে
- ১৯১৪-১৯৪১
- মানুষের ইতিহাসে
- আমরা যাব না আর রাতের ভিতরে
- আমরা যাব না আর পথ পথান্তের দিকে
- নগরী বিকেলবেলা
- এই সব শূন্যতা
- বিকেলের স্তব্ধতায় প্রতিভাত হয়
- আমাদের পৃথিবী ও সমুদ্রের পরিসর
- ১৯৪০’এর স্মৃতি
- সূর্যের বিশ্বস্ত রং ফুটে আছে
- চললেই পায়ে-চলা পথ-ঘাট
- পথান্তর থেকে পথ ফিরে যায় পথে
- কী এক দ্বায়িত্ব আছে
- পিতৃলোক সন্তানের কাছ থেকে
- বুকের উপরে হাত রেখে
- এখন গভীর বৃষ্টি
- কোথাও ভোরের বেলা
- ছায়ার মতন ঢের পথ
- কে শরীর? কে-বা ছায়া?
- নানা রূপ বিকলাঙ্গ রূপ নিয়ে
- নিজেকে রচনা করে ইতিহাস
- প্রকাণ্ড হেমন্ত-রাত
- মেঘলা নদীর বক
- কোথায় সে ডুবে গেছে
- আধো-মৃত কৃষকের মুখ
- সময়ের পথে হেঁটে
- আবার হেমন্ত-দিন এল
- অনন্ত আকাশে ভোর
- যক্ষ ও সূর্য
- কোথাও পশ্চিম তবু
- অতিব্যয়িতা
- সহসা শিথিল হয়ে গেল
- ভোরের আলোয়
- ভোরের বেলা
- জলের স্তব্ধতা
- সামাজিক নারী
- কোনও এক বিশ্বাসীকে
- অনেক পোলিটিকাল মিটিংয়ের পরে
- বিবিধ ইন্টারভিয়্যুর শেষে
- সন্ধ্যার বাতাস