স্ফুলিঙ্গ
এটি রবীন্দ্রনাথের মরোনোত্তর কাব্যগ্রন্থ যা ১৯৪৫ সালে প্রকাশিত হয়। এতে কবিতাগুলোর শিরোনাম না দিয়ে সংখ্যা দিয়ে ক্রমান্বয়ে সাজানো হয়েছে। এ-ধরনের কয়েক ছত্রের ছোট কবিতাকে কবি নিজে আখ্যা দিয়েছিলেন 'কবিতিকা'। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর বিভিন্নজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করে তারপর গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়। মূলত ১৩৩৪ সালে "লেখন" প্রকাশিত হয়। লেখনের সগোত্র আরও বহু কবিতা রবীন্দ্রনাথের নানা পাণ্ডুলিপিতে, বিভিন্ন পত্রিকায়, ও তাঁহার স্নেহভাজন বা আশীৰ্বাদপ্রার্থীদের সংগ্রহে বিক্ষিপ্তভাবে সংগৃহীত ছিল। শ্রীকানাই সামন্ত, শ্রীপুলিনবিহারী সেন ও শ্রীপ্রভাতচন্দ্র গুপ্ত পাণ্ডুলিপি এবং বিভিন্ন স্বাক্ষরসংগ্রহের খাতা হতে এধরনের অনেকগুলি লেখা চয়ন করে সেসব কবিতাসমষ্টি হতে সংকলন করে 'স্ফুলিঙ্গ' প্রকাশিত হয়েছে।
সূচীপত্র
- অনিত্যের যত আবর্জনা
- অনেক তিয়াষে করেছি ভ্ৰমণ
- অনেক মালা গেঁথেছি মোর
- অন্ধকারের পার হতে আনি
- অন্নের লাগি মাঠে
- অপরাজিতা ফুটিল
- অবসান হল রাতি
- অবোধ হিয়া বুঝে না বোঝে
- অমলধারা ঝরনা যেমন
- আকাশে ছড়ায়ে বাণী
- আকাশে যুগল তারা
- আকাশে সোনার মেঘ
- আকাশের আলো মাটির তলায়
- আগুন জ্বলিত যবে
- আজ গড়ি খেলাঘর
- আপন শোভার মূল্য
- আপনার রুদ্ধদ্বার-মাঝে
- আপনারে নিবেদন
- আপনি ফুল লুকায়ে বনছায়ে
- আমি অতি পুরাতন
- আমি বেসেছিলেম ভালো
- আয় রে বসন্ত, হেথা
- আলো আসে দিনে দিনে
- আলো তার পদচিহ্ন
- আশার আলোকে
- আসা-যাওয়ার পথ চলেছে
- ঈশ্বরের হাস্যমুখ দেখিবারে পাই
- ঊর্মি, তুমি চঞ্চলা
- এই যেন ভক্তের মন
- এই সে পরম মূল্য
- এখনো অঙ্কুর যাহা
- এসেছিনু নিয়ে শুধু আশা
- এসে মোর কাছে
- ওড়ার আনন্দে পাখি
- কথা চাই, কথা চাই
- কঠিন পাথর কাটি
- কমল ফুটে অগম জলে
- কল্লোলমুখর দিন
- কহিল তারা, জ্বালিব আলোখানি
- কাছের রাতি দেখিতে পাই
- কালো মেঘ আকাশের তারাদের ঢেকে
- কী পাই, কী জমা করি
- কী যে কোথা হেথা হোথা যায় ছড়াছড়ি
- কীর্তি যত গড়ে তুলি
- কুসুমের শোভা
- কোন্ খ’সে-পড়া তারা
- ক্লান্ত মোর লেখনীর
- ক্ষণিক ধ্বনির স্বত-উচ্ছ্বাসে
- গত দিবসের ব্যর্থ প্রাণের
- গাছগুলি মুছে-ফেলা
- গাছ দেয় ফল
- গাছের পাতায় লেখন লেখে
- গিরিবক্ষ হতে আজি
- ঘন কাঠিন্য রচিয়া শিলাস্তূপে
- চলার পথের যত বাধা
- চলিতে চলিতে চরণে উছলে
- চলে যাবে সত্তারূপ
- চাও যদি সত্যরূপে
- চাষের সময়ে
- চাহিছ বারে বারে
- চৈত্রের সেতারে বাজে
- জন্মদিন আসে বারে বারে
- জানার বাঁশি হাতে নিয়ে
- জীবনদেবতা তব
- জীবনযাত্রার পথে
- জীবনরহস্য যায়
- জীবনে তব প্রভাত এল
- জীবনের দীপে তব
- জ্বালো নবজীবনের
- ডুবারি যে সে কেবল
- তপনের পানে চেয়ে
- তব চিত্তগগনের
- তরঙ্গের বাণী সিন্ধু
- তারাগুলি সারারাতি
- তুমি বসন্তের পাখি বনের ছায়ারে
- তুমি বাঁধছ নূতন বাসা
- তুমি যে তুমিই, ওগো
- তোমার মঙ্গলকার্য
- তোমার সঙ্গে আমার মিলন
- তোমারে হেরিয়া চোখে
- দিগন্তে ওই বৃষ্টিহারা
- দিগন্তে পথিক মেঘ
- দিনের আলো নামে যখন
- দিনের প্রহরগুলি হয়ে গেল পার
- দিবসরজনী তন্দ্রাবিহীন
- দুই পারে দুই কূলের আকুল প্রাণ
- দুঃখ এড়াবার আশা
- দুঃখশিখার প্রদীপ জ্বেলে
- দুখের দশা শ্রাবণরাতি
- দূর সাগরের পারের পবন
- দিগ্বলয়ে
- ধরণীর খেলা খুঁজে
- নববর্ষ এল আজি
- না চেয়ে যা পেলে তার যত দায়
- নিরুদ্যম অবকাশ শূন্য শুধু
- নূতন জন্মদিনে
- নূতন যুগের প্রত্যুষে কোন্
- নূতন সে পলে পলে
- পদ্মের পাতা পেতে আছে অঞ্জলি
- পরিচিত সীমানার
- পশ্চিমে রবির দিন
- পাখি যবে গাহে গান
- পাষাণে পাষাণে তব
- পুরানো কালের কলম লইয়া হাতে
- পুষ্পের মুকুল
- প্রথম আলোর আভাস লাগিল গগনে
- প্রভাতরবির ছবি আঁকে ধরা
- প্রভাতের ফুল ফুটিয়া উঠুক
- প্রেমের আদিম জ্যোতি আকাশে সঞ্চরে
- প্রেমের আনন্দ থাকে
- ফাগুন এল দ্বারে
- ফুল কোথা থাকে গোপনে
- ফুল ছিঁড়ে লয়
- ফুলের অক্ষরে প্রেম
- ফুলের কলিকা প্রভাতরবির
- ‘বউ কথা কও’ ‘বউ কথা কও’
- বড়ো কাজ নিজে বহে
- বড়োই সহজ
- বরষার রাতে জলের আঘাতে
- বরষে বরষে শিউলিতলায়
- বর্ষণগৌরব তার
- বসন্ত পাঠায় দূত
- বসন্ত যে লেখা লেখে
- বসন্তের আসরে ঝড়
- বসন্তের হাওয়া যবে অরণ্য মাতায়
- বস্তুতে রয় রূপের বাঁধন
- বহু দিন ধ’রে বহু ক্রোশ দূরে
- বাতাস শুধায়, বলে তো, কমল
- বাতাসে তাহার প্রথম পাপড়ি
- বাতাসে নিবিলে দীপ
- বাহির হতে বহিয়া আনি
- বাহিরে বস্তুর বোঝা
- বাহিরে যাহারে খুঁজেছিনু দ্বারে দ্বারে
- বিকেলবেলার দিনান্তে মোর
- বিচলিত কেন মাধবীশাখা
- বিদায়রথের ধ্বনি
- বিধাতা দিলেন মান
- বিমল আলোকে আকাশ সাজিবে
- বিশ্বের হৃদয়-মাঝে
- বুদ্ধির আকাশ যবে সত্যে সমুজ্জ্বল
- বেছে লব সব-সেরা
- বেদনা দিবে যত
- ভজনমন্দিরে তব
- ভেসে-যাওয়া ফুল
- ভোলানাথের খেলার তরে
- মনের আকাশে তার
- মাটিতে মিশিল মাটি
- মান অপমান উপেক্ষা করি দাঁড়াও
- মিছে ডাক’-মন বলে, আজ না
- মিলন-সুলগনে
- মুকুলের বক্ষোমাঝে
- মুক্ত যে ভাবনা মোর
- মুহুর্ত মিলায়ে যায়
- মৃত্তিকা খোরাকি দিয়ে
- মৃত্যু দিয়ে যে প্রাণের
- যখন গগনতলে
- যখন ছিলেম পথেরই মাঝখানে
- যত বড়ো হোক ইন্দ্ৰধনু সে
- যা পায় সকলই জমা করে
- যা রাখি আমার তরে
- যাওয়া-আসার একই যে পথ
- যুগে যুগে জলে রৌদ্রে বায়ুতে
- যে আঁধারে ভাইকে দেখিতে নাহি পায়
- যে করে ধর্মের নামে
- যে ফুল এখনো কুঁড়ি
- যে যায় তাহারে আর
- যে রত্ন সবার সেরা
- রজনী প্রভাত হল
- রাতের বাদল মাতে
- রূপে ও অরূপে গাঁথা
- লুকায়ে আছেন যিনি
- শরতে শিশিরবাতাস লেগে
- শিকড় ভাবে, সেয়ানা আমি
- শূন্য ঝুলি নিয়ে হায়
- শূন্য পাতার অন্তরালে
- শেষ বসন্তরাত্রে
- শ্রাবণের কালো ছায়া
- শ্যামল ঘন বকুলবন
- সংসারেতে দারুণ ব্যথা
- সন্ধ্যারবি মেঘে দেয়
- সফলতা লভি যবে
- সব চেয়ে ভক্তি যার
- সময় আসন্ন হলে
- সারা রাত তারা
- সুখেতে আসক্তি যার
- সেই আমাদের দেশের পদ্ম
- সেতারের তারে
- সে লড়াই ঈশ্বরের বিরুদ্ধে লড়াই
- সোনায় রাঙায় মাখামাখি
- স্তব্ধ যাহা পথপার্শ্বে, অচৈতন্য, যা রহে না জেগে
- স্নিগ্ধ মেঘ তীব্র তপ্ত
- স্মৃতিকাপালিনী পূজারতা, একমনা
- হাসিমুখে শুকতারা
- হিমাদ্রির ধ্যানে যাহা
- হে উষা, নিঃশব্দে এসো
- হে তরু, এ ধরাতলে
- হে প্রিয়, দুঃখের বেশে
- হেলাভরে ধুলার ‘পরে