প্রবন্ধ

অবস্থা ও ব্যবস্থা

  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • প্রবন্ধ

আজ বাংলাদেশে উত্তেজনার অভাব নাই, সুতরাং উত্তেজনার ভার কাহাকেও লইতে হইবে না। উপদেশেরও যে বিশেষ প্রয়োজন আছে, তাহা আমি মনে করি না। বসন্তকালের ঝড়ে যখন রাশিরাশি আমের বোল ঝরিয়া পড়ে, তখন সে বোলগুলি কেবলি মাটি হয়, তাহা হইতে গাছ বাহির...বিস্তারিত

ব্রতধারণ

  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • প্রবন্ধ

আজ এই স্ত্রীসমাজে আমি যে উপদেশ দিতে উঠিয়াছি বা আমার কোনো নূতন কথা বলিবার আছে, এমন অভিমান আমার নাই। আমার কথা নূতন নহে বলিয়াই, কাহাকেও উপদেশ দিতে হবে না বলিয়াই, আমি আজ সমস্ত সঙ্কোচ পরিহার করিয়া আপনাদের সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়াছি।...বিস্তারিত

দেশীয় রাজ্য

  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • প্রবন্ধ

দেশভেদে জলবায়ু ও প্রাকৃতিক অবস্থার প্রভেদ হইয়া থাকে, এ কথা সকলেই জানেন। সেই ভেদকে স্বীকার না করিলে কাজ চলে না। যাহারা বিলখালের মধ্যে থাকে, তাহারা মৎস্যব্যবসায়ী হইয়া উঠে; যাহারা সমুদ্রতীরের বন্দরে থাকে, তাহারা, দেশবিদেশের সহিত বাণিজ্যে প্রবৃত্ত হয়; যাহারা সমতল...বিস্তারিত

ঈশ্বর ও ঈশ্বর সৃষ্ট পদার্থ

  • ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
  • প্রবন্ধ

আমরা ইতস্ততঃ যে সমস্ত বস্তু দেখিতে পাই সে সমুদায়কে পদার্থ কহে। পদার্থ তিন প্রকার চেতন, অচেতন, উদ্ভিদ। যে সকল বস্তুর জীবন আছে এবং যথা ইচ্ছা গমনাগমন করিতে পারে তাহারাই চেতন পদার্থ; যেমন মনুষ্য-গো, অশ্ব, পক্ষী, পতঙ্গ, কীট ইত্যাদি। যে সকল...বিস্তারিত

চেতন পদার্থ

  • ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
  • প্রবন্ধ

সমুদায় চেতন পদার্থের সাধারণ নাম জন্তু। জন্তগণ মুখ ও নাসিকা দ্বারা বায়ু আকর্ষণ এবং মুখ দ্বারা আহার গ্রহণ করিয়া প্রাণধারণ করে। আহার দ্বারা শরীরের পুষ্টি হয়, তাহাতেই বাঁচিয়া থাকে। আহার না পাইলে শরীর শুষ্ক হইতে থাকে এবং ত্বরায় মরিয়া যায়!...বিস্তারিত

মানব জাতি

  • ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
  • প্রবন্ধ

মনুষ্যজাতি বুদ্ধি ও পরাক্রমে সকল জন্তু অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। তাহাদিগের বুদ্ধি ও বিবেচনাশক্তি আছে; এজন্য পশু পক্ষী ও অন্য অন্য সর্ব্বপ্রকার জীব জন্তুর উপর আধিপত্য করিতে পারে। মনুষ্য পশুর ন্যায় চারি পায় চলে না; দুই পায়ের উপর ভর দিয়া সোজা হইয়া...বিস্তারিত

ইন্দ্রিয়

  • ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
  • প্রবন্ধ

ইন্দ্রিয় জ্ঞানের দ্বার স্বরূপ; অর্থাৎ ইন্দ্রিয় দ্বারা সর্ব্বপ্রকার জ্ঞান জন্মে। ইন্দ্রিয় না থাকিলে আমরা কোন বিষয়ে কিছু মাত্র জানিতে পরিতাম না। মনুষ্যের পাঁচ ইন্দ্রিয়। সেই পাঁচ ইন্দ্রিয় এই; চক্ষু, কর্ণ, নাসিক, জিহ্বা, ত্বক্। চক্ষু দ্বারা যে জ্ঞান জন্মে তাহাকে দর্শন...বিস্তারিত

বর্ণ- রঙ্‌

  • ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
  • প্রবন্ধ

নানা বর্ণের বস্তু অবলোকন করিলে নয়নের যে রূপ প্রীতি জন্মে, সর্ব্বদা এক বর্ণের বস্তু দেখিলে সে রূপ হয় না, বরং বিরক্তিই জন্মে। এই নিমিত্ত জগদীশ্বর জগতের যাবর্তীয় পদার্থ এক বর্ণের না করিয়া নানা বর্ণের করিয়াছেন। সকল বর্ণ অপেক্ষা হরিত বর্ণ...বিস্তারিত

বাক্যকথন- ভাষা

  • ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
  • প্রবন্ধ

মনুষ্যেরা মুখ দ্বারা শব্দ উচ্চারণ করিয়া মনের ভাব ও অভিপ্রায় প্রকাশ করে। ঐ সকল শব্দের উচ্চারণ বিষয়ে জিহ্বাই প্রধান সাধন। এরূপ শব্দ উচ্চারণ করাকেই কথা কহা বলে; এবং সেই উচ্চারিত শব্দের নাম ভাযা। যে শক্তি দ্বারা ঐরূপ শব্দ উচ্চারণ করতে...বিস্তারিত

কাল

  • ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
  • প্রবন্ধ

প্রভাত ও সন্ধ্যাকাল কাহাকে কহে তাহা সকলেই জানে। যখন আমরা শয্যা হইতে উঠি, সূর্য্যের উদয় হয়, তাহাকে প্রভাত কহে। আর সূর্য্য অস্ত যায়, অন্ধকার হইতে আরম্ভ হয়, তাহাকে সন্ধ্যাকাল বলে। প্রভাত অবধি সন্ধ্যা পর্য্যন্ত যে সময় তাহাকে দিবা ভাগ কহে।...বিস্তারিত