উঠিয়াছে ঝড়
উঠিয়াছে ঝড়, কড় কড় কড় ঈশানে নাকাড়া বাজিছে তার, ওরে ভীরু, ওঠ, এখনই টুটিবে ধমকে তাহার রুদ্ধ দ্বার! কৃষ্ণ মেঘের নিশান তাহার দোলে পশ্চিম-তোরণে ঐ, ভ্রুকুটি- ভঙ্গে কোটি তরঙ্গে নাচে নদনদী তাথৈ থৈ। তরবারি তার হানিছে ঝিলিক সর্পিল বিদ্যুল্লেখায়, হানিবে...বিস্তারিত
শাখ্-ই-নবাত্
শাখ-ই-নবাত শাখ-ই-নবাত! মিষ্টি রসাল 'ইক্ষু-শাখা'। বুলবুলিরে গান শেখাল তোমার আঁখি সুরমা-মাখা। বুলবুল-ই-শিরাজ হলো গো হাফিজ গেয়ে তোমার স্তুতি, আদর করে 'শাখ-ই-নবাত্' নাম দিল তাই তোমার তূতী। তার আদরের নাম নিয়ে আজ তুমি নিখিল-গরবিনী, তোমার কবির চেয়ে তোমায় কবির গানে অধিক...বিস্তারিত
গদাই-এর-পদ বৃদ্ধি
দু-পেয়ে জীব ছিল গদাই বিবাহ না করে! কুক্ষণে তার বিয়ে দিয়ে দিল সবাই ধরে।। আইবুড়ো সে ছিল যখন, মনের সুখে উড়ত হাল্কা দুখান পা দিয়ে সে নাচত, কুঁদত, ছুড়ত।। বিয়ে করে গদাই দেখলে সে আর উড়তে নারে, ভারি ঠেকে সদাই।...বিস্তারিত
কর্থ্যভাষা
কর্থ্যভাষা কইতে নারি শুর্দ্ধ কথা ভিন্ন। নেড়ায় আমি নিম্ন বলি (কারণ) ছেঁড়ায় বলি ছিন্ন।। গোঁসাইকে কই গোস্বামী, তাই মশাইকে মোর্স্বামী। বানকে বলি বন্যা, আর কানকে কন্যা কই আমি।। চাষায় আমি চশশ বলি, আশায় বলি অশ্ব। কোটকে বলি কোষ্ঠ, আর নাসায়...বিস্তারিত
দীওয়ান-ই-হাফিজ
ত্যাজি মসজিদ কাল মুর্শিদ মম আস্তানা নিল মদশালা, নেবে কোন পথ এবে পথ-রথ ওগো সুহৃদ সখি পথ বালা! আমি মুসাফির যত শারাবির ঐ খারাবির পথ-মঞ্জিলে, সখি মাফ চাই, বিধি এই রায় ভালো লিখেছিলে আমি জন্মিলে। 'কাবা শরিফের পানে করি ফের...বিস্তারিত
ক্ষমা করো হজরত!!
তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ, ক্ষমা করো হজরত। ভুলিয়া গিয়াছি তব আদর্শ, তোমার দেখানো পথ -ক্ষমা করো হজরত।। বিলাস বিভব দলিয়াছ পায় ধূলিসম তুমি প্রভু তুমি চাহ নাই আমরা হইব বাদশা নওয়াব কভু এই ধরণীর ধন সম্ভার সকলের তাহে সম অধিকার...বিস্তারিত
সাম্পানের গান
ওরে মাঝি ভাই! ওরে সাম্পানওয়ালা ভাই! তুই কি দুখ পাইয়া কূল হারাইলি অকূল দরিয়ায়।। তোর ঘরের রশি ছিঁইরা রে গেল ঘাটের কড়ি নাই, তুই মাঝ দরিয়ায় ভাইসা চলিস সাম্পান ভাসাই। ও ভাই দরিয়ায় আয়ে জোয়ার ভাটিরে তোর ঐ চক্ষের পানি...বিস্তারিত
অ-নামিকা
কেন নামে হায় ডাব তোমায় নাফন-জানা অনামিকা। জলে স্থলে গগন-তলে তোমার মধুর নাম যে লিখা।। গ্রীষ্মে কনক-চাঁপার ফুলে তোমার নামের আভাস দুলে, ছড়িয়ে আছে বকুল মূলে তোমার নাম হে ক্ষণিকা।। বর্ষা বলে অশ্রুজলের মানিনী সে বিরহিণী। আকাশ বলে, তড়িত লতা,...বিস্তারিত
অর্ঘ্য
হায় চির-ভোলা! হিমালয় হতে অমৃত আনিতে গিয়া ফিরিয়া এলে যে নীলকণ্ঠের মৃত্যু-গরল পি'য়া! কেন এত ভালো বেসেছিলে তুমি এই ধরণির ধূলি? দেবতারা তাই দামামা বাজায়ে স্বর্গে লইল তুলি! হুগলি ৩রা আষাঢ়, ১৩৩২বিস্তারিত
অকাল-সন্ধ্যা
খোলো মা দুয়ার খোলো; প্রভাতেই সন্ধ্যা হল দুপুরেই ডুবল দিবাকর গো। সমরে শয়ান ওই, সুত তোর বিশ্বজয়ী, কাঁদনের উঠছে তুফান-ঝড় গো।। সবারে বিলিয়ে সুধা, সে নিল মৃত্যু-ক্ষুধা, কুসুম ফেলে নিল খঞ্জর গো! তাহারই অস্থি চিরে দেবতা বজ্র গড়ে নাশে ওই...বিস্তারিত