গীতাঞ্জলি
গীতাঞ্জলি হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি কাব্যগ্রন্থ। এই বইয়ে মোট ১৫৭টি গীতিকবিতা সংকলিত হয়েছে যার কোনোটিকেই শিরোনাম না দিয়ে সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। কবিতাগুলি ব্রাহ্ম-ভাবাপন্ন ভক্তিমূলক রচনা। এর বেশিরভাগ কবিতাতেই রবীন্দ্রনাথ নিজে সুরারোপ করেছিলেন। ১৯০৮-০৯ সালে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই কবিতাগুলি প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯১০ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। ১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথের সং অফারিংস (ইংরেজি: Song Offerings) কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এতে গীতাঞ্জলি ও সমসাময়িক আরও কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের কবিতা রবীন্দ্রনাথ নিজে অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। ইংরেজি কাব্যগ্রন্থটির জন্য রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
সূচীপত্র
- আমার মাথা নত করে দাও
- আমি বহু বাসনায় প্রাণপণে চাই
- কত অজানারে জানাইলে তুমি
- বিপদে মোরে রক্ষা কর
- অন্তর মম বিকশিত কর
- প্রেমে প্রাণে গানে গন্ধে আলোকে পুলকে
- তুমি নব নব রূপে এস প্রাণে
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায়
- আনন্দেরি সাগর থেকে
- তোমার সোনার থালায় সাজীব আজ
- আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ
- লেগেছে অমল ধবল পালে
- আমার নয়ন ভুলানো এলে
- জননী, তোমার করুণ চরণ খানি
- বাঁচান বাঁচি মারেন মরি
- জগৎ জুড়ে উদার সুরে
- মেঘের পরে মেঘ জমেছে
- কোথায় আলো কোথায় ওরে আলো
- আজি শ্রাবণ-ঘন গহন মোহে
- আষাঢ় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল
- আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার
- জানি জানি কোন আদি কাল হতে
- তুমি কেমন করে গান কর হে গুণী
- অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
- যদি তোমার দেখা না পাই প্ৰভু
- হেরি অহরহ তোমারি বিরহ
- আর নাইরে বেলা নামল ছায়া
- আজ বারি ঝরে ঝর ঝর
- প্ৰভু তোমা লাগি আঁখি জাগে
- ধনে জনে আছি জড়ায়ে হায়
- এই যে তোমার প্রেম ওগো
- আমি হেথায় থাকি শুধু
- দাও হে আমার ভয় ভেঙে দাও
- আবার এরা ঘিরেছে মোর মন
- আমার মিলন লাগি তুমি
- এস হে এস সজল ঘন
- পারবি না কি যোগ দিতে এই ছন্দেরে
- নিশার স্বপন ছুটলো রে
- শরতে আজ কোন অতিথি
- হেথা যে গান গাইতে আসা আমার
- যা হারিয়ে যায় তা আগলে বসে
- এই মলিন বস্ত্র ছাড়তে হবে
- গায়ে আমার পুলক লাগে
- প্রভু আজি তোমার দক্ষিণ হাত
- জগতে আনন্দ যজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ
- আলোয় আলোকময় করেহে
- আসন তলের মাটির পরে লুটিয়ে রব
- রূপসাগরে ডুব দিয়েছি
- আকাশ তলে উঠ্ল ফুটে
- হেথায় তিনি কোল পেতেছেন
- নিভৃত প্রাণের দেবতা
- কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ
- তুমি আমার আপন, তুমি আছ আমার কাছে
- নামাও নামাও আমায় তোমার
- আজি গন্ধবিধুর সমীরণে
- আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে
- তব সিংহাসনের আসন হতে
- তুমি এবার আমায় লহ হে নাথ
- জীবন যখন শুকায়ে যায়
- এবার নীরব করে দাও হে তোমার
- বিশ্ব যখন নিদ্রা মগন
- সে যে পাশে এসে বসেছিল
- তোরা শুনিস্ নি কি শুনিস নি কি তার পায়ের ধ্বনি
- মেনেছি হার মেনেছি
- একটি একটি করে তোমার
- কবে আমি বাহির হলেম তোমারি গান গেয়ে
- তোমার প্রেম যে বইতে পারি
- সুন্দর, তুমি এসেছিলে আজ প্রাতে
- আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে
- ঐ রে তরী দিল খুলে
- চিত্ত আমার হারাল আজ
- ওগো মৌন, না যদি কও
- যতবার আলো জ্বালাতে চাই
- সবা হতে রাখবো তোমায়
- বজ্ৰে তোমার বাজে বাঁশি
- দয়া দিয়ে হবে গো মোর
- সভা যখন ভাঙবে তখন
- চির জনমের বেদনা
- তুমি যখন গান গাহিতে বল
- ধায় যেন মোর সকল ভালবাসা
- তারা দিনের বেলা এসেছিল
- তারা তোমার নামে বাটের মাঝে
- এই জ্যোৎস্না রাতে জাগে আমার প্রাণ
- কথা ছিল এক তরীতে কেবল তুমি আমি
- আমার একলা ঘরের আড়াল ভেঙে
- একা আমি ফিরবনা আর
- আমারে যদি জাগালে আজি নাথ
- ছিন্ন করে লও হে মোরে
- চাইগো আমি তোমারে চাই
- আমার এ প্রেম নয়ত ভীরু
- আরো আঘাত সইবে আমার
- এই করেছ ভাল নিঠুর
- দেবতা জেনে দূরে রই দাঁড়ায়ে
- তুমি যে কাজ করচ, আমায়
- বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো
- ডাক ডাক ডাক আমারে
- যেথায় তোমার লুট হতেছে ভুবনে
- ফুলের মতন আপনি ফুটাও গান
- মুখ ফিরায়ে রব তোমার পানে
- আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে
- আজ বরষার রূপ হেরি মানবের মাঝে
- হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
- এই মোর সাধ যেন এ জীবন মাঝে
- একলা আমি বাহির হলেম
- আমি চেয়ে আছি তোমাদের সবাপানে
- আর আমায় আমি নিজের শিরে
- হে মোর চিত্ত পুণ্য তীর্থে
- যেথায় থাকে সবার অধম দীনের হতে দীন
- হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান
- ছাড়িসনে ধরে থাক এঁটে
- আছে আমার হৃদয় আছে ভোরে
- গৰ্ব্ব করে নিইনি ও নাম, জান অন্তর্যামী
- কে বলে সব ফেলে যাবি
- নদী পারের এই আষাঢ়ের
- মরণ যেদিন দিনের শেষে আস্বে তোমার দুয়ারে
- দয়া করে ইচ্ছা করে আপনি ছোট হয়ে
- ওগো আমার এই জীবনের শেষ পরিপূর্ণতা
- যাত্রী আমি ওরে
- উড়িয়ে ধ্বজা অভ্ৰভেদী রথে
- ভজন পূজন সাধন আরাধনা
- সীমার মাঝে, অসীম, তুমি
- তাই তোমার আনন্দ আমার পর
- মানের আসন, আরাম শয়ন
- প্ৰভু গৃহ হতে আসিলে যেদিন
- ভেবেছিনু মনে যা হবার তারি শেষে
- আমার এ গান ছেড়েছে তার
- নিন্দা দুঃখে অপমানে
- রাজার মত বেশে তুমি সাজাও যে শিশুৱে
- জড়িয়ে গেছে সরু মোটা
- গাবার মত হয়নি কোনো গান
- আমার মাঝে তোমার লীলা হবে
- দুঃস্বপন কোথা হতে এসে
- গান দিয়ে যে তোমায় খুঁজি
- তোমায় খোঁজা শেষ হবে না মোর
- যেন শেষ গানে মোর সব রাগিণী পূরে
- যখন আমায় বাঁধ আগে পিছে
- যত কাল তুই শিশুর মত
- আমার চিত্ত তোমার নিত্য হবে
- তোমায় আমার প্রভু করে রাখি
- যা দিয়েছ আমায় এ প্রাণ ভরি
- ওরে মাঝি ওরে আমার
- মনকে, আমার কায়াকে
- আমার নামটা দিয়ে ঢেকে রাখি যারে
- নামটা যেদিন ঘুচাবে নাথ
- জড়ায়ে আছে বাধা, ছাড়ায়ে যেতে চাই
- তোমার দয়া যদি
- জীবনে যত পূজা
- একটি নমস্কারে প্রভু
- জীবনে যা চিরদিন
- তোমার সাথে নিত্য বিরোধ
- প্রেমের হাতে ধরা দেব
- সংসারে আর যাহারা
- প্রেমের দূতকে পাঠাবে নাথ কবে
- গান গাওয়ালে আমায় তুমি
- মনে করি এই খানে শেষ
- শেষের মধ্যে অশেষ আছে
- দিবস যদি সাঙ্গ হল