এমন হতো না আগে

এমন হতো না আগে; ফড়িং, মানুষ, ঘাস, বেড়াল, বা পাখি
দেখে মনে হতো এরা তো আমারই। চোখ ভ’রে, ইচ্ছে হতো, দেখি
মুখ, চিবুকের রঙ; কিছুক্ষণ থাকি সাথে, দু-হাতে জড়িয়ে রাখি
রক্তের ভেতরে, কাঁপাকাঁপা ঠোঁটে আর গালে নাম লেখি।
দেখা হবে বারবার মনে হতো; মাঠে, ধানখেতে
পুকুরের পাড়ে, দেখা হবে মাঝরাতে যখন সে ফেলবে জাল জলে,
নিশ্চিত ছিলাম যখন ছিলাম জীবন ও ভবিষ্যতে মেতে
সারাবেলা, যখন অবধারিত ছিলো সূর্য রাত শেষ হ’লে।
এখন কিছুই মনে হয় না নিজের কিছু অত্যন্ত অচেনা;
আজ যার ছুঁই হাত মনে হয় না কালও ফের দেখতে পাবো তাকে,
আমার জন্যে আর ঝ’রে না শিশির, পাপড়িতে জমে না
সুগন্ধ;- মনে হয় সেও হয়তো দেখতে আর পাবে না আমাকে।
কিছুই আমার নয় আজ আমিও কিছুর নই আর,
আমাকে চেনে না ওই মেথিশাক কুমড়ো ফুল সামাজিক কাক,
কুয়াশায় মিশে যাচ্ছে দিকে দিকে শিশুর চিৎকার,
আমাকে শোনে না কেউ আমিও শুনি না মানুষ বা উদ্ভিদের ডাক।