হেমন্তের বড়ো হাওয়া

হেমন্তের বড়ো হাওয়া ভেসে আসে শরের ভিতর থেকে উঠে
বিকেলবেলার খেতে- ক্রমে শর সম্পূর্ণ আঁধার
হয়ে যায়- হাওয়া আসে- বিকেলের সৈন্যদের মতো
বাওর শিবিরে ফিরে- তাহাদের শরীরের ছায়া
অনুভব করি আমি- তিন ধনু দূরে এক নদীর উপরে
শেষ বার দেখা যায় সমস্বরে তাহাদের ব্যূহ
ক্রমেই বিশীর্ণ হয়- পঁচিশ বছর আগে আমার মুখের দিকে চেয়ে
যেই কথা বলেছিলে তুমি, তার প্রতিধ্বনি- আভার মতন
নিস্তব্ধ হয় কার্তিকের বর্ণিল বিকেলে।

বাতাস সহসা রোল ক’রে উঠে অন্ধকারে থামে
পঁচিশ বছর গেল খেলা ক’রে মানুষের হাতের মুঠোয়
কয়েক নিমেষে আজ- এখানে এরোপ্লেনের পিছে প্লেন
দূর- আরও দূরতর পথে যায়- গাধার খুরের থেকে তবু
দূরতম দেশে চ’লে গেলে (পরে তুমি আর আমি)
তখন তোমাকে আমি ফিরে পাব- ঈষৎ বিস্ময়ে
হেমন্তের অন্ধকার মাঠে ভাঙা চাঁদের আগুনে এই কথা
ভেবে দেখি- আড়চোখে গাধাগুলো অবহিত হয়ে থেকে ভাবে।