তা হলে আলোর ডাকে

তা হলে আলোর ডাকে এ-রকম হেমন্তের বন থেকে আমি
বিষয় সংগ্রহ করি পুনরায়- ঘাসের ঘাঁটির মতো ভেবে
তিনটি নিরীহ গাধা এক দিন আমার হৃদয়ে
অলোকসামান্য প্রেম খেয়েছিল জেনে নিয়ে ভোর
নিজের শরীর এনে এইখানে উঁচু-উঁচু গাছের ভিতরে
আলোকিত হয়ে ওঠে- জ্ঞাতসারে বন্ধুর মতন
ছায়া হয়- এই বনে পৃথিবীর নয়টি কানন
রয়ে গেছে- নয় জন নদী আছে- ১৩১৫ সালে নয়টি নারীর
নিভোনো দেহের মতো- সাদা, নীল, রক্ত, কাকাতুয়া
কোথাও রয়েছে যেন মনে হয়- এইখানে প্রতিটি গাছের
মুখাবয়বের দিকে চেয়ে থেকে- অন্নস্পর্শাতুর
হৃদয়ের দোষে আমি কিছু দেখি- সকল দেখি না
তবু সেই পাখিগুলো উপরের বাতাসের ঢাল থেকে বলে:
‘এখানে সবুজ পাতা সম্পূর্ণ অঙ্গাঙ্গি ভাবে পেকে
হলুদ হতেছে ক্রমে- সুদূর পৃথিবী
শোরগোলে অবশেষে শান্ত হয়ে গেলে এক-দিন
উড়ে যাবে তারা সব। যম নিয়মের শেষ প্রত্যঙ্গ, প্রতীক
টানাপোড়েনের সুরে সারা-দিন অবহিত সুতোর মতন
বাতাস এখানে নিজ গুণময়- উচ্ছৃঙ্খল অলীক বাতাস
মনে ক’রে নদীর জলের দিকে তাকালে নয়টি নিঃস্ব নদী
হেসে যাবে নয় বন মুছে ফেলে হঠকারী মানুষের হৃদয়ের থেকে।’