কাননবালার জন্যে

একদা তোমার নাম হাটে মাঠে ঘাটে, সবখানে
গুঞ্জরিত হতো জানি। বড়ো মিঠে তোমার সংলাপ
মুখস্থ করতো যারা রাত্রিদিন, তাদের উত্তাপ
জোগাতে মোহিনী রূপে- এ দশকে আজ তা কে জানে!
বিজয়িনী তুমি, তাই সেলুনে কি পানের দোকানে
রবীন্দনাথের পাশে ঝুলতো তোমার ফটোগ্রাফ,
দেখতাম; সে আশ্চর্য বাবুবিলাসের যুগে- সাফ
মনে পড়ে- ছিলে বহু যুবকের বিনিদ্র শিথানে।

কাল তার এ্যালবামে কিছুতে রাখে না সব ফটো,
দেয় ঠেলে আস্তাকুঁড়ে; সময় বেজায় জাঁহাবাজ।
বুঝি তুমি তাই লোকলোচনের আড়ালে, মলম
পারে না রুখতে আর জরার আঁচড়। বড়-ছোটো
পানের দোকানে ঝোলে অন্যান্য বালার ছবি আজ,
নেপথ্যে জীবনী লেখে পুরোদমে ভৌতিক কলম।