বর্ষ-বাণী

বৈশাখী (গান)
-আহ্বান-
এসো এসো এসো হে নবীন
এসো এসো হে বৈশাখ,
এসো আলো এসো হে প্রাণ
ডাকো কালবৈশাখীর ডাক।
বাতাসে আনো ঝড়ের সুর
যুক্ত করো নিকট দূর।
মুক্ত করো শতাব্দীরে দিনের প্রতিদানে,
ঝঞ্জা আনো বজ্র হানো বিজলী জ্বাল প্রাণে।
পুরোনো দিন তপ্ত বায়ে আজকে ঝ’রে যাক।।

বসন্তেরই শান্ত বায়ে পল্লবিনী-লতা
তরুর কোলে দোলনরত লজ্জা-অবনতা।
প্রভাতী-ডাকে তাহারে ডাকো
একেলা কানে কানে
প্রলয় সুরে নাট্যশালা ভরিয়া তোল গানে।
মেঘের বুকে কাজল আঁকো,
জাগাও ঘূর্ণিপাক।।
নিঃস্ব করো বিশ্ব ভুবন দুঃখ দহন-তাপে
শুষ্ক করো রুক্ষ করো কঠিন অভিশাপে।
হে সন্ন্যাসী একেলা আসি
রিক্ত-ঝুলি হ’তে
দিলে যে দান জ্বলিল প্রাণ
পুড়িল আরও ওতে।
তৃষ্ণাময়ী ধরণী আজি করুণা মাগে তব
নবীনপ্রাণ নবীনদান আনো হে নব বন।
পিছনে তাই বৈশাখী ঝড় আশাসে তুলে হাঁক।।


(গানটির রচনাকাল আনুমানিক ১৯৪০। এটি ‘সূর্য-প্রণাম’-এর সমকালীন একটি অসস্পূর্ণ গীতিকাব্যের প্রথমাংশ বলে মনে হয়।)