শূন্য হাওয়া

ধ্বনিরা সব ফুরিয়ে যায়
নিত্য ব্যবহারে
শূন্য হাওয়া চতুর্দিকে
বুলায় লাল জিভ;
জোটেনা কোনো শব্দকণা
কবির ওঙ্কারে
তখন কার আহত মুখ
দাঁড়াল পার্থিব?

উদোম তার বুকের ভার
উদার হাতে খুলে,
মোহিনী এক জননী যেন
রমণী হতে চায়;
ঘুমের ছল কামের জল
এখনো নাভিমূলে
মোছেনি তবু, আবার এলো
আগের শয্যায়।

কিছুই যেন কাঁপেনা তার
ভাঙেনা সৌষ্ঠব
শীত বিদায় গ্রীষ্ম যায়
জমেনা স্বেদকণা;
সর্বদাই নিজের কাছে
নিরীহ পরাভব
গোপন রাখে দু’চোখে আঁকে
রাতের আল্পনা।

নিয়মহীন বিষাদ দু’টি
বুকের ভারে নত,
গভীর এক ভঙ্গি ধরে
ঊরুর অধিকার;
গন্ধহীন পুষ্প যেন
ফাগুনে উদ্যত
মুদ্রাহীন সর্প খেলে
কামের টঙ্কার।