দোলপূর্ণিমার কবিতা

অতনু! ধনুতে পরাও ছিলা,
হানে এ-গুমোট, ভাঙো এ-ভাণ।
অবচেতনের আঁধার খনিতে,
বুদ্ধির অবরুদ্ধ গণিতে
পড়ুক, পড়ুক পঞ্চবাণ।
ধনবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান
এনেছে, শুনছি, নব দিক্‌জ্ঞান,
সে-যে শুধু ছলা, করে প্রমাণ।
হোক নীরক্ত তর্ক পলকে
পুষ্পফলকে ছত্রখান।
রক্তমাংস-ইচ্ছা-জড়ানো
হৃদয়েরে তুমি আনো ডেকে আনো,
হানো এ-গুমোট, ভাঙো এ-ভাণ;-
অতনু, ধনুতে পরাও ছিলা!
তাদেরই মর্মে পড়ুক টান
হৃদয়ের পথে ছড়ায় শিলা
পুঁথি-পড়া যারা সুপ্তপ্রাণ।
উন্মনা হবে মননশীলা,
প্রাজ্ঞেরও নেই পরিত্রাণ।
তরুণ-তরুণী-প্রণয়লীলা,
চোখের চুমোয় আত্মদান,
রুদ্ধ হবে যে-বুদ্ধির তেজে
এখনো আসেনি সে-বিজ্ঞান।
অতনু! ধনুতে পরাও ছিলা,
হানো এ-গুমোট, ভাঙো এ-ভাণ
ফণিমনসার মনোবিজ্ঞতা
যে-মন্ত্রে হ’লো মুহ্যমান
মুকুলদলের অনভিজ্ঞতা
তারই তো রটায় উচ্চ তান।
নিঠুর, করুণ, মধুর! তোমার
মৃত্যুবাণেই মুক্তিবাণ।
অতনু, ধনুতে পরাও ছিলা,
হানো এ-গুমোট, ভাঙো এ-ভাণ