তরুণী যূথী পরানু তব কালে খোঁপায়;-
হায় রে পীতমলিন হ’লো:
তোমারও তনুপরশ নাকি ফুলে তাপায়!
যে-তনুদীপবৃন্তে তুমি জীবনে জ্বলো,
সে-তনুমূল মাটিতে বাঁধা;
মাটির ফুল কেমনে তার সীমা ছাপায়!
যে-দীপ তার আধার, তা-ই আলোর বাধা;
বসন্তের মত্ত অলি
বসন্তেরে বিয়ে দেয় বাসি চাঁপায়।
তোমার চুলে আকুল করে যে-ফুলকলি
পরালো মালা তারই তো গলে,
মরত্বের যে-অভিশাপ তারে শাপায়।
মর্ত্য লীলা যখনই শেষ, মনের তলে
অতনু যূথী অন্তহীন
মাটির বুক আবার সেই সুখে কাঁপায়,
যে-মুখে কাঁপে আমার প্রেম রাত্রিদিন
কখনো কোনো কথার ছলে
চিরন্তনের ক্ষণ-পরশ যদি-বা পায়।