অলৌকিক ইস্টিমার

চোখের মতোন সেই ইস্টিমার
নীল নক্ষত্র থেকে ছুটে আসছে গাঢ় বেগে
যারা শুয়ে আছে পাটাতনে
প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় বিভিন্ন শ্রেণীতে
তারা আমার গভীর আত্মীয়

নীল ইস্টিমার চোখের মতোন সিটি বাজাচ্ছে থেমে থেমে
আমি ঘুমের ভেতর থেকে লাফিয়ে উঠছি
অন্ধহাতে খুঁজে ফিরছি আমার নিবিড় ট্রাউজার…
আমার গভীর আত্মীয়বর্গ শুয়ে আছে ব’সে আছে
ওরা কি বুড়ো হয়ে গেছে কেউ কি রেখেছে লম্বাচুল দাড়িগোঁফ
রজনীগন্ধ্যার পাঁপড়িতে মৃত্যু
জানি না তা
জানি শুধু ওদের চিনবো আমি বহু দূর থেকে

আমার সেই নীল দুঃখ পাটাতনে ব’সে আছে
ঘুমহীন সুখহীন ওতো চিরকাল
ও কখনো ঘুমোতে জানে না
সেই সব রাত্রিদিন জ্যোৎস্নারৌদ্র চিৎকার ক’রে চাওয়া
নীল ভালোবাসা
সবাই দ্রিাহীন ইস্টিমারে

আমি দৌড়ে ছুটে যাচ্ছি সোনালি জেটিতে
তেমনি সজীব ওই নেমে আসছে
দুঃখ
প্রেম
জ্যোৎস্না
রোদ
ব্যর্থতা
রোদন
দৌড়ে যাচ্ছি আমি ওদের সবার সঙ্গে আলিঙ্গন করতেই হবে
ভারহীন আমি কারো ধরবো হাত
কারো চুলে রাখবো আঙুল কারো গাল টিপে দেবো
কাউকে বলবো তুমি কেমন রয়েছে এতোদিন
কাউকে বুকের ভেতরে নিয়ে গৃহমুখে পালাবো উর্ধশ্বাসে

আমার দুঃখ
তুমি আজো রক্তমাংসময় টকটকে নিবিড় যুবক
আমার প্রেম
তুমি আজো তাকে খুঁজছে রাস্তায়
আমার জ্যোৎস্নারোদ
আজো তোমরা মুকুলিত হও সব গাছের পাতায়
ব্যর্থতারোদন
তোমরা আজো তার কাছে আবেদন ক’রে
যাচ্ছো স্নিগ্ধ ফলভার
অলৌকিক ইস্টিমার আসে সব রাতে
সব বৃষ্টি ভর ক’রে
নদী জ্যোৎস্না ফুলদানি বেয়ে
যারা এসে নামছে জেটিতে তারা আমার গভীর আত্মীয়