স্নান

সময়ের মতো উষ্ণ তুষারের মতো শুভ্র নদী বয় জীবনের মতো
পলিমাটিলোকে, দাঁড়িয়ে রয়েছি তীরে গাছ এক আমার শরীর,
ঝ’রে পড়ি প্রথম পল্লব, শ্বেতস্রোতে চিরকাল স্নানে আছি অবিরত

যেনো মাছ পরিস্রুত জলে, নীল ঝর্না ঝরে নিসর্গের গুপ্ত স্নানঘরে
কিশোরীর মতো আছি যৌবনের জলঘরে আগন্তুক স্বপ্নজলতলে।
সবচে বিশুদ্ধ জল শোভাময় প্রবাহিত ধাতু আর বস্তুর ভেতরে

স্নানে রত আছি বস্তুতে ধাতুতে, নিয়ত ঝরছে জল অলৌকিক কলে
প্লাবিত দ্রবিত রাত্রি, স্পন্দিত পাথর, ঝরঝর ঝরে অনন্ত নির্ঝর
প্রত্যহ করছি স্নান রৌদ্রময় দুঃখী ক্ষুব্ধ উষ্ণ শুদ্ধ জনতার জলে

তার ঢেউয়ে যেনো জনপদ্ম দীর্ঘমূল। যেলে অনন্ত গভীরমুখি নুড়ি
পাথরের নেমে যাচ্ছি স্নানরত অতল জলেতে, যেমন ক’রেছি স্নান
শৈশব চাদের তলে জ্যোৎস্নায় তোমার দেহের জলে, জলদ কিশোরী,

স্নানে রত আছি তোমার স্মৃতিতে, শূন্য সময়ের রুক্ষ রুগ্ন পদতলে
কোলাহলে কলরোলে, সময়ের ময়লা ধুই চিরকাল ক্ষিপ্র দুই হাতে,
অনন্ত জ্ঞানার্থী আমি জল ঢালি দেহবিশ্বে স্নানরত সময়ের জলে।