এখন এসেছে ডাক জানি আমি

এখন এসেছে ডাক জানি আমি- এখন এসেছে ডাক জানি-
তবুও কোথার থেকে- কী ক’রে তা বলি
ঘুরেছি অনেক দিন কলকাতা- গোবরা- বেহালা
পলতার জল তবু হয়ে যায় নিমতলাঘাটে অন্তর্জলী
এখন ক্রমশ যেন- মনে হয়- এই শহরের মুখ
মায়াবীর হাতে এক নিপুণ মহলা- ঘুলায়ে ফেলেছি তবু সবই
প্রতিটি কুকুর গাধা বেড়ালের লেজ ধ’রে টেনে নিয়ে আসে-
তাদের মনিবদের আগাপাশতলা আমি করি অনুভব।

এখন তবুও সব ফেলে দিয়ে চ’লে যেতে হবে
কেউ যদি দিতে চায় কিছু তবে দিতে পারে বটে
বাতাসের গা বাঁচায়ে আড় হয়ে দেশলাই জ্বেলে
আগুন ধরায়ে দিয়ে গিয়েছে চুরুটে
কোথা থেকে সেইখানে কোনও এক ছিমছাম ছোঁড়া নেমে এসে
মেঘ না চাইতে জলে- হাঁটুজলে কলুটোলা স্ট্রিটে
ভিখিরির মুখে এক চুরুটে আগুন নেই দেখে ভেবেছিল
তবুও আগুন ছাড়া চুরুট হয়েছে কবে মিঠে।

ঢের দিন লাঠি আর তালি আর আলখাল্লা নিয়ে
অনেক ঘুরেছি আমি বাঁশবেড়ে- কলকাতা- বালি
আমার বাবার বাবা- তার বাবা সদ্ভাবে দাড়ি মিইয়েছে
তবুও তাদের গালে লেগে রয়েছিল চুন-কালি
তবুও যতই দিন কেটে যায় আমার হাঁটুর ‘পরে দাড়ি নেমে আসে
কঁচি-হাতে পথের নাপিত ভাবে ভিখিরির এত বাড়াবাড়ি
তবুও যেখানে যাব সেখানে জলের দরে নারী- সোনা- কেনা যায় ব’লে
গভীর দাদন দিয়ে মহাজন কিনে রাখে ভিখিরির দাড়ি।