বাতাবিফুলের মতো সুঘ্রাণ

বাতাবিফুলের মতো সুঘ্রাণ আলো- নীল মেঘের শিয়রে এখনই জন্ম নেবে
ভোর আসছে…
ভোর আসছে
বাতি নিভিয়ে ফেলো
সারা-রাত জেগে কী লিখছিলে তুমি
পাণ্ডুলিপি সরিয়ে রাখো
তোমার লেখা সবুজ ঘাসের মতো হবে না কোনও দিন
ভোরের আলোর মতো হবে না
তোমার নতুনতম লেখা পৃথিবীর ধূসরতম পাণ্ডুলিপির মতো
তুমি এক পুরানো পেঁচা’র মতো
নির্জন বাবলাগাছের ছিপছিপে শাখার অলিগলির ফাঁকে যে-কুয়াশার সৃষ্টি হয় রোজ রাতে
(ছিপছিপে বাবলাগাছের আঁকাবাঁকা শাখার ভিতরে
যে-কুয়াশার অলিগলি সৃষ্টি হয় রোজ রাতে)
সেইখানে তোমার নীড়
তোমার স্বপ্ন
শরীর তোমার মাংসের নয়
(হাজার-হাজার বছরের কুয়াশা সাঁতরে মাংস কি বাঁচতে পারে কখনও!)
গায়ে তোমার পাটকিলে রঙের রেখা- ঝরনার অজস্র ডোরার মতো কোমল
কুয়াশার ঘষায়-ঘষায় ধূসর হয়ে যাচ্ছে
গায়ে তোমার পৃথিবীর অনাদিতম ফসলের আঘ্রাণ
ফলসানির ধূসরতম মদের আস্বাদ
পৃথিবীর প্রথম খেত- শিশির- ফসল- চাঁদ তোমার হৃদয়ে
পৃথিবীর প্রথম ধানের রস খেয়ে যে-ইঁদুর মাতালের মতো নেচেছিল
তার মাদকতাময় পায়ের শব্দ
শিঙের মতো বাঁকা কান তুলে আজও শুনছ তুমি
পৃথিবীর কোনও নতুন ধ্বনি শুনতে চাও না আর
কোনও নতুন রূপ দেখতে চাও না
তোমার নতুনতম লেখা পৃথিবীর ধূসরতম পাণ্ডুলিপির মতো।