যেই সব যুবকেরা- আফ্রিকায়-
সিংহ- আর স্বর্ণ-সন্ধানের ঢের আগে
চেয়ে দেখে গভীর আকাশরেখা দৃঢ় ক’রে
সূর্য এসে দাঁড়ায়েছে অমেয় ভূভাগে
নক্ষত্রের সমুজ্জ্বল মাছের মতন
অন্ধকার আকাশজলের কুক্ষিগত
আর সূর্য: বোলতা’র স্ফটিক পাখায়
কাঁপিতেছে ভয়ঙ্কর দর্পণের মতো
যাহাদের জীবনের সমারোহ
দুয়ারের মিসিসিপি,- গাঙ্গেয় বাতাসে
যাহাদের দক্ষ চোখে প্রাঙ্গণের শঙ্খচিল
বিষুবরেখায় ঘুরে আসে
হাতের তেলোয় জল… তাহাদের
দুপুরের সূর্যবিম্ব গিলে
সস্মিত ভার্যার মতো চেয়ে থাকে
যেন এক (সমুদ্রের) অনন্ত সলিলে
যাহারা নদীর পথে কুয়াশাকে
আকাশরেখাকে ভেঙে- করে আরোহণ
অকস্মাৎ শোনা যায় গ্লাসিয়ার’এ
ঝরনার সুপ্রজনন
তারা প্রেম। পুরানো দর্শন পড়া সাঙ্গ ক’রে তবু
ভিন্নতর নতুন প্রমিতি
যাহাদের শিক্ষা দেয় আগুনের থেকে উঠে
চির-দাহ্য পদার্থের রীতি
যেই সব যুবাদের অনুজ্ঞায় অরুন্তুদ
কুমোরের চাকা ক্লেশে ঘোরে
পৃথিবীর প্রামাণিক প্রভুদের
মৃত্তিকার মতো মনে ক’রে
যাহাদের অহঙ্কার পাহাড়ের পায়ের নিকটে
এক শিষ তৃণের সমান
কেবলই প্রবীণ যোনি ভেদ ক’রে জেগে ওঠে
অনন্ত স্থাণুর মুখে নিত্য বায়ু সঞ্চালন
তাহাদের হাতে আমি দিয়ে যাই
সময়কে ভালোবেসে- যেই সংকলন
গেঁথেছে প্রেমের মৃত্যু এই পারে
অই লোকে পারদবিহীন দর্পণ।