যখন পাখিরা

যখন পাখিরা যেন আমার নিকটে কারু জানালার থেকে
অকস্মাৎ বার হয়ে ক্রমেই উপরে উঠে চলে
বিকেলের নিঃশব্দ আলোর দেশে- নীড় নয়- কোনও এক নিক্তির সন্ধানে
মনে হয় চক্রবালে গাঢ় সাদা মেঘ এই পাখিরা নরম জানু গেড়ে
করুণ রোমের গন্ধে উড়ে যায় দেখে কিছু অন্তঃসার দেবে ইহাদের
তবুও ডানায় ক্ষীণ বাতাসের গুঁড়ি নিয়ে কৃত্রিম কাঁচের মতো চোখে
মেঘের নিকটে তারা যখন গিয়েছে চ’লে- দেখি সেই অবহিত সুধী
গম্বুজের মতো বড়ো হাস্যের কৌমুদী নিয়ে ব’সে আছে ঘাঁটির কিনারে
অপরূপ দানবীয়তায়- তাহার পায়ের নিচে পঙ্কের বুদবুদ সব দু’-এক নিমেষে
যেতেছে মৃত্যুর দিকে- সমুদ্রের দিকে- আবার অঙ্কুশে বিঁধে যখন গৃহীরা
নগরীর ঘর থেকে বার হয়ে চ’লে যায়- কোনও এক নিরাময়
শুভ্র মানদণ্ডের সন্ধানে- তুচ্ছতাকে পায় শুধু- হৃদয়বিহীন সব তুচ্ছতাকে
পরিধির প্রগলভ গতিতে ঘুরে-ঘুরে তারা অনুভব ক’রে যায় তবু
অন্ধকারে মনস্বিনী দৃষ্টি নিয়ে নোঙর ফেলার আগে- পেঁচা
আসন্ন সূর্যের শ্লেষে ঘুরে যায় এ-রকম প্রিমিয়াম মোটিফের দিন থেকে আবহমান কাল।