কে যেন মানুষ এক

কে যেন মানুষ এক কী যেন কী হতে চেয়েছিল
ঘরের বিবর্ণ দেয়ালে তার ক্যালেন্ডার- পমেটম মেখে ঢের নারী
যেন ঢের পুরুষের খাড়া মেরুদণ্ড- চোখ- বক্তৃতা- চুরুটের থেকে
সন্দিহান সাম্রাজ্যের ক্রীতদাসীদের মতো আধোঘুম, মৌমাছি-ভারি
চক্ষের মধুচাক পেয়েছিল-
সবুজ-অরণ্য-আর-নীলিমার-মতো দিনে ভালুকের মতো হৃষ্ট কৌতূহলে সে-সব নিঙারি
আমিও তো নিতে পারি- নিয়ে যাও- নিয়ে যাও- ডেকচেয়ারের চটে মাকড়ের মতো হয়ে পড়িবার আগে
পুরোহিতদের মতো প্রেম যবক্ষারযান হয়ে সূর্যের ফলকে ঋদ্ধ পীবর প্রভাতে
উড়ে গেছে- কমলারঙের রশ্মি কলরব ক’রে ওঠে বীজাণুর হাস্যপ্রহসনে
চুষে ফেলে লেবুর মতন সব- সমুদ্রের সন্তরণকারী যেন প্রীতি পায় মনে
শেমিজের ছেঁড়া আস্তিনের ‘পরে ঝ’রে পড়ে চায়ের পেয়ালা থেকে রস
চোখের উপরে জোরে হাত রেখে প্রবাসী বন্ধুর মতো ফিরে এসে পৃথিবীর প্রথম বয়স
চেপে ধরে- ‘ছাড়ো- ছাড়ো- জানি আমি’- ‘বলো দেখি তবে-
মেরুদণ্ড টেনে নিয়ে মুখোমুখি বসিবে কি সিধা
পুরজ্যেষ্ঠদের মতো খোসা আর মেঘ মৈথুন ছাড়া কি থাকে চাহিদা?-
এক ব্যাগ গল্প, ঢিল, প্লানচেট, নরনারী, শাঁস নিয়ে?
রেনকোট গায়ে দিয়ে নগরীর নিশীথের গলিগুলো প্রিয়তর জান না স্বকীয়ে
যেন তুমি প্রাঞ্জল হাড়ের ক্ষোভ- জলের মতন যুক্ত মেধ থেকে খ’সে গিয়ে
অবিরল সমুদ্রের সাঁতারের ক্রমে
চিংড়িমাছের মিষ্টি চুমো খেয়ে ডুবে গেছ গুগগুলে- এক সের ফেনার বিভ্রমে-
তবুও তোমারে আমি মধ্যসমুদ্রের জলে ফেলে যাব-

হে আমার জীবনের প্রথম প্রেমের প্রিয়তমে।’