কিছুটা প্রকৃত গল্প বলো

‘কিছুটা প্রকৃত গল্প বলো দেখি। বলা যেতে পারে।’
মহিলাটি মেহগেনে টেবিলের থেকে
সাড়ে-তিন হাত দূরে চেয়ার ঘুরিয়ে
মনে হল এক জীবনের পার থেকে গেল যেন ডেকে
এখন কতটা রাত নগরীর সকল ঘড়িতে?
টের পাওয়া যায় কিছু কার্তিকের হিম
যেই সব গাধাগুলো ধোপানির হাতের দড়িতে
টান খেয়ে পিঠে তবু এক ভিড় দোশালা, জাজিম
রেখে দিয়ে উম হয় (নদীর বিপথে প’ড়ে) হেমন্তের রাতে
সহসা সে-সব জন্তু নদী হয়ে মিশে গেলে দড়ি তবে থাকে কার হাতে
নেই ব’লে দড়ি আছে ধোপানির হাতে।

ব’লে গেল পুনরায় মহিলাটি সবিশদ হেসে
অথবা হৃদয় তার এই অনুভাব
এখন বালির-ঘড়ি বহু যুগ শেষ ক’রে দিয়ে
অবশেষে বোধ করে বালির অভাব

যদিও অনেক গল্প জানা ছিল এক দিন- তবুও সে-সব
একটি জীবন ভ’রে গিলে গেছে প্রান্তরের- বার’এর বাতাস
আমার হৃদয়ে তারা গাধা আর নির্ঝরের মতো কলরব
হয়তো কাসুন্দি- তবু- (তবুও তা প্রান্তরের ঘাস-
হয়তো-বা চায়না-গ্রাস)
তোমার মাছের ফ্রাইয়ে। গল্প শুনে গল্প শুনে আজ
হঠাৎ লাফায়ে উঠে মাছগুলো হয়ে যেতে পারে জাঁহাবাজ…