পৃথিবী বিস্তৃত আজ

পৃথিবী বিস্তৃত আজ সারা-দিন- আকাশ নীলাভ
ধানের গরিমা নিচে শেষ হয়ে যায়
এখুনি সোনা’র মতো ছিল তারা অঘ্রানের রোদে
কেমন বিবর্ণ হয়ে গেছে তবু পউষের মিহি কুয়াশায়

আমি এই বিবর্ণতা ভালোবাসি এমন গভীর নীল দিনে
একটা কী দু’টো সাদা অমেয় নির্জন প্রজাপতি
কোথাও ছিল না আজ দুপুরের মৃত্যুর ভিতরে
খেতের উপরে তবু তাহাদের শরীরের জ্যোতি

ইতস্তত ভেসে উঠে থেকে যায় আকাশের নিচে
যখনই স্মরণ করি: খেত জন্মে-মৃত্যু রৌদ্র প্রজাপতি দু’টি
আমার অজ্ঞাতসারে বৈতরণী-তরঙ্গের দিকে চ’লে যায়
ফিরে তাকাতেই সব নীলিমায় পেয়ে যায় ছুটি

পউষ-দুপুরে এই আকাশের মুখোমুখি সারা-দিন আমি
একটি স্তূপের ‘পরে ব’সে থেকে আমার এ-হৃদয়ের কিছু অন্যায়
বিধৌত হতেছে জানি অপরিচিহ্নিত ধানখেতে
রাতের রৌদ্রের মতো প্রজাপতি পৃথিবীর নিঃশব্দতায়।