পৃথিবীর নিস্তব্ধতায়

এখনকার এই পশ্চাদ্বিক্ষিপ্ত পৃথিবীর নিস্তব্ধতায়
জ্যোৎস্না-রাতে
কার্তিকের শিশিরের শব্দে
চারি-দিকে অনেকটা ফাঁকা জমি
মাঝখানে একটা পেয়ারা-গাছ
আমি জীবনে যা-কিছু শিখেছি- জেনেছি-
তার-ই অনুভবের মতো
কিংবা হয়তো আরও অনেক দিন
আরও অনেক আবছায়াকে
আমার নিকট আলোকের বর্ণে উদ্গীরণ করবে সে
কিন্তু তবুও একটি আবছায়া
কোনও দিন ফুরাবে না আর
বাদুড় ও নক্ষত্রের আনাগোনার ভিতর
শিশির ও পেঁচার কোমল চিঠিপত্র নাড়তে-নাড়তে
মনে হয় যেন একটা ধূসর পাখি রয়েছে
কোনও এক নীড়ে
কয়েকটা ডিমের সম্ভাবনা নিয়ে
তার উষ্ণ পালকের ভিতর
শৈশবে এই কথা মনে হয়েছে আমার- মনে হয়েছিল স্থবিরতায়
আমার মৃত্যুর পর এই কথা মনে হয়েছে
কিন্তু সেই পাখিকে কখন দেখতে পাব আমি!