সৌর চেতনা

এইখানে অন্ধকার সমুদ্রের জলে
একটি আলোক স্তম্ভ আছে;
তবুও তা আলো ব’লে বোধ হয় যদি
ঝঞ্ঝায় শংকিত সব নাবিকের কাছে
অন্ধ প্রহরী তার ঘরে
আপনার অন্ধকার নিয়ে খেলা করে।

মৃত পিতৃপুরুষের বিবর্ণ দেয়ালে
অধিক বিবর্ণতর তরবার দেখে
প্রয়োগ পটুয়াদের সাধ জেগে গেলে
হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে;
মদির উল্লাসে তারা আত্মকর্মক্ষম
চেয়েছে কি ঠিকই এ-রকম।

কণ্ঠস্থ গ্রন্থের শব্দ উচ্চারণ ক’রে
মোমের নিকট ব’সে মানুষের চোখ
হারায়ে ফেলেছে গ্রন্থ,
হারায়েছে মোমের আলোক,
হারায়ে ফেলেছে এই শতাব্দীকে আজ
গোধূ্লির সুত মিত রমণী সমাজ।

এই জীবনের পথে জিনিসের মতো
অপরের সমীচীন দৃষ্টির নির্দেশে
অচেতন জলের লোহের থেকে জলে
চলেছি বিম্বের মতো ভেসে।
শুনেছি কোথাও এক শতাব্দীর মিতব্যয়ী মন
জানে না ক’ অপ্রস্তুত হ’তে;
শুনেছি চলেছি লোকপরিচিত প্রমাণের ব’লে
জনমত,- অন্ধকার লোক মতামতে
চলেছি দৈবের দিকে?

যে আকাশ জনতার নিরাশায় পিছে
প’ড়ে আছে- অথবা মৃত্যুর পরে যেখানে শান্তিতে বসবাস
করা যায়,- অথবা যাদের আমি
প্রতিহত ক’রে যাই আজ,
অথবা যেসব জ্ঞান জ্ঞানময় ব’লে মনে হয়
অথবা যেসব আশা, আশা ব’লে মনে হয় আজ
সকলই তন্দ্রার মতো।
জ্ঞানপাপী হয়ে তবু যাকে আমি বধ করি আজ
যাকে আমি ভালোবাসি ব’লে মনে হয়,
যাকে আমি অবহেলা করি,
সকলই রিরংসালীন পেংগুইন।
তবুও সত্যের পরিচয়
নিজের নিপট গুণে ভেদ ক’রে যদি এই মোহান্ধতাকে
তবে সে তা ক’রে যায়। বিনয়ের অবসান হ’লে
তবুও বিনয়ী হয়ে ওরা কাল ভোর বেলা হয়তো-বা
পেয়ে যাবে তাকে।