সুবিনয় মুস্তফী (সংযোজিত)

সুবিনয় মুস্তফীর কথা মনে পড়ে এই হেমন্তের রাতে।
এক-সাথে বেড়াল ও বেড়ালের-মুখে-ধরা-ইঁদুর হাসাতে
এমন আশ্চর্য শক্তি ছিল ভূয়োদর্শী যুবার।
ইঁদুরকে খেতে-খেতে সাদা বেড়ালের ব্যবহার,
অথবা টুকরো হ’তে-হ’তে সেই ভারিক্কে ইঁদুর:
বৈকুণ্ঠ ও নরকের থেকে তারা দুই জনে কতখানি দূর
ভুলে গিয়ে আধো-আলো অন্ধকারে হেঁচকা মাটির পৃথিবীতে
আরও কিছু দিন বেঁচে কিছুটা আমেজ পেয়ে নিতে
কিছুটা সুবিধা ক’রে দিতে যেত- মাটির দরের মতো রেটে;
তবুও বেদম হেসে খিল ধ’রে যেত ব’লে বেড়ালের পেটে
ইঁদুর ‘হুর্‌রে’ ব’লে হেসে খুন হ’ত সেই খিল কেটে-কেটে।

[১৯৫৪ সালের সংস্করণে সংযোজিত]