সূচনার দিনে তারা

সূচনার দিনে তারা
মনে করে সমাপ্তির কথা
তাহারা ত্রিকাল দেখে বুড়ো হয়ে গেছে সব
জানে তারা
এই বার মধ্যন্দিন রৌদ্রের বিপ্লব
এই বার গোধূলিসন্ধির বিফলতা
জানে তারা- এই বার যদিও দক্ষিণ হাত
কাঠ চাঁছে- পাথরকে কুঁদে ফেলে
যদিও ভ্রূকুটি ক’রে ভেঙে যায় অগ্নি, মাটি, ব্যোম
তবু তারা আপামর সাড়ে-তিন হাত সত্তা জ্বেলে
যেন এক দানবীয়- দূর- ধর্মর্যাজিকার হাতে সাদা মাখনের মতো মোম
তাহাদের চক্ষু জ্বলে স্ফটিকের মতো সেই সৌন্দর্যকে দেখে- তবু- দানবীয়- দূর
অনেক গভীর রাতে- মুমূর্ষু জয়ন্তীগাছে
প্রান্তরের স্বত্বঅধিকারহীন- সাদা- বাতাসের সুর।

কোথায় দাঁড়ায়ে আছে জানে তারা
ত্রিকাল দেখেছে তারা সব
এই বার বালির স্ফুলিঙ্গে হিরা
কুলুঙ্গির বাতির ভিতরে ক’রে নক্ষত্রের আলোকবর্ষকে অনুভব
যদিও দানব আর তার বড়ো ছেলে
হাওয়া খেতে বার হয় রোজ
লাঠি দিয়ে সূর্যকে পেড়ে আনে ফলের মতন
নীল বোতলের গর্ভে করে সংরক্ষণ
সমস্ত জীবন নীতি রাষ্ট্রিক সত্যের

(তবু- তবু) ত্রিকাল পেয়েছে যারা টের
খুঁজে নেয় এক বার খানিকটা গুণা
জড়াবে দৈত্যের পায়ে
টেনে দেবে অন্ধকারে
আকাশে বাদুড় তবু চেয়ে দেখে এ-সব- এই করুণারে
সাড়ে-তিন হাত দীর্ঘ শরীর বাড়ায়ে
ছিটে-গুলি ছুঁড়ে মারে ইতিহাসবৃত্তের পারে;
গোল হবে চতুষ্কোণ
চতুষ্কোণ হয়ে যাবে গোল
বাতাসের সমস্ত ওজোন
মৃত্তিকার সমস্ত মাংসল
শশকেরা- তবে আর দুষ্ট বণিকের
নয় জেনে। চেয়ে দেখে মুণ্ডহীন ছায়া নড়ে
ইঁদারার জলের ভিতরে
তেমনই- নিস্তব্ধ কানীনের।