তিন নারী

সাধারণ মেয়েলোক হয়তো-বা জানালার নিকটে দাঁড়ায়ে
আবার সোফার ‘পরে ব’সে রবে টেবিলে আলোর দিকে চেয়ে
যেখানে বিংশতি মশা গান গায় অন্ধকারে বৈতরণী-নাবিকের মতো পথ বেয়ে
সে-সবের গুঞ্জরণ এইখানে তিনটি নারীর উষ্ণ চা’এ
বাড়াবাড়ি করে না ক’- বুকের উপরে হাত রেখে দিয়ে আমি
এদের মুখের দিকে চেয়ে দেখি- শুনেছে কি ডিণ্ডিমের সুর
নরক- এখান থেকে তিন বার তিন ধনু- কিংবা তার চেয়ে ঢের দূর
প্রতিটি নারীর মুখ এইখানে বায়ুস্তরে সিদ্ধাঙ্গনাদের মতো ঊর্ধ্বগামী

চোখ বুজে আমি সেই তুর্থলীমণির মতো নীল
গহন আকাশ আর বায়ুবীথি করি আবিষ্কার
বিষুবক্রান্তির রাতে প্রতিটি নক্ষত্র যেন মনে করে নিগূঢ় মিনার
অন্য এক নক্ষত্রকে- সে-দেশ এমন বিষম নিরাবিল।
নারীরাও। সময়ের হাতে গড়া সৈন্ধবের মতো সাদা সারসের মতো
ডানা খুলে উড়ে যায় খুশি হলে যেন এরা রাত্রির ইন্ধন
পরিতৃপ্ত বিবেকের স্নিগ্ধতায় ইহাদের পরমাত্মা, স্তন
ছাগল, অধ্যক্ষ, চোর, সম্রাটকে টেনে নিয়ে বেলুনের মতন ফলত
স্বতই উপরে ওঠে- পৃথিবীর চারি-দিকে বিষয় ও বস্তুর বিষ
তবে কার গায়ে লাগে?- গাঢ় রাতে দেখা গেল সিঁড়ির উপরে সারি-সারি
সুদীর্ঘ মশাল হাতে দাঁড়ায়ে রয়েছে তিন নারী
সিংহীর মতো তারা শুনঃশেফ; নাগিনির মতো অম্বরীষ।