গোলাপজঙ্গল

আগুন, তুমি কেমন ক’রে
হাজির করো এমন সব
পাগল মেয়েদের?
আমি নতুন ক’রে চমকে উঠি
নতুন করে আবার ভয় পাই।

ওরা কখন ঘুমোতে যায়?
সত্যি যায়?কখন তবে ওঠে?
ওঠেই যদি, সবাই মিলে
স্নান করতে আসে কখন?
‘যখন ঘাসে তোয়ালে খ’সে পড়ে।’

‘এবার বলল, স্নানের আগে
তোমার কাজ কী কী?
প্রথম, আমি তৎক্ষণাৎ
শুকিয়ে যাওয়া ঝর্নাপথে
উঠি পাহাড়, খাড়া পাহাড়
হা হা পাহাড় বেয়ে-
দ্বিতীয়, আমি জলের মুখ
ঘুরিয়ে দিই ওদের দিকে-
তৃতীয়, আমি দাঁড়িয়ে থাকি
মুষল ধ’রে দাঁড়িয়ে থাকি
পাহারা দিই পাগল মেয়েদের

‘দাও, এবং চেষ্টা করো লুকিয়ে দেখবার?’
কখনো আমি দেখি না-তুমি জানো;
এ অভিযোগ ফিরিয়ে নাও!

‘এখন তবে রাত্রে ঠিক
ঘুমোতে পারছো তো?’
ভোরের দিকে ঘুমোতে গেছি
হঠাৎ ওরা আবীর ছুঁড়ে-
‘তোমার দিকে?’- আমাকে নয়
এ ওর গায়ে আবীর ছুঁড়ে-
গাছের গায়ে পাতার গায়ে আবীর, আমি
পালাবো কোন দিকে?
আগুন, আমার নিজের ওপর
আস্থা থাকছে না…

‘আমার ওপর থাকছে তবে?’
তোমার চেয়ে হৃদয়হীন
তোমার চেয়ে সত্যবান
বন্ধু আর নেই আমার!
দ্যাখো আবার নতুন ক’রে
এ গাছ থেকে ও গাছে কারা
বাতাস পাঠিয়েছে-
অশীতিপর শীতের বনে
দ্যাখো আবার কত বছর পর
একদিনের ছুটিতে এলো
তরুণ রঙদোল-
এখনো আমি দাঁড়িয়ে আছি
পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে আছি
মুষল ধ’রে দাঁড়িয়ে আছি
এখনো মুখ ফিরিয়ে দেখছি না
আমার পাশে স্নান করছে
কেমন করে স্নান করছে
উচ্ছ্বসিত গোলাপজল…

আগুন, আমি হঠাৎ কিছু
করে ফেলতে পারি।