কদম ফুলের গায়ে

কদম ফুলের গায়ে সত্যি সত্যি কাঁটা দিতে পারে?
সেবার বর্ষায় দিল, এতটুকু বানিয়ে বলছি না
যদিও ইট বার করা বাড়ি, গাছটি বেড়ার ওপারে
উঠোনে টিউকল, পাশে বালতি হাতে নিয়ে দুটি মেয়ে
কানে কি ফিসফিস বলে হেসে আর বাঁচেই না যেন
অচেনা কে পথচারী ঘোষপাড়ার পথ জানতে চেয়ে
শুধিয়ে চলে যাচ্ছে দুটো জলজ্যান্ত মেয়ে দেখে…
নারকেল গাছের সারি, গাছের মাথায় শ্যামলা মেঘ
পায়ে চলা পথ চলছে, দুধারে চাটাই দেওয়া ঘর
এই এলো এই সরছে গাছতলায় রোদের চৌখুপি
এক্ষুনি ঝিরঝির বৃষ্টি শরৎকালের যা স্বভাব…
লাজুক কে পথচারী ঘোষপাড়ার পথ খুঁজে না পেয়ে
ফের ও বাড়ির সামনে। শরৎস্বভাবী মেয়ে দুটি
কী হয়েছে ওদের মধ্যে? রাগকরা মুখ একজন
হনহন চলে যাচ্ছে, অন্যটি দৌড়য়, ‘শোন শোন’…
পড়বি তো একদম পড় গায়ের ওপরে: ‘ইস মাগো!’
জামায় আধবালতি জল, হোঁচট সামলাতে মুখখামুখি
প্রায় জাপটে ধরে ফেলল ভিজে গায়ে দোঁহাকে দুজন
আমাদের পথচারী জ্ঞান হারিয়ে জ্ঞান ফিরে পেয়ে
দেখল, দু হাতের মধ্যে সারাগায়ে কাঁটা দেওয়া বৃষ্টির কদম!