জাতের বজ্জাতি

জাতের নামে বজ্জাতি সব, জাত-জালিয়াৎ খেলছ জুয়া!
ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া॥

হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়ি— ভাবলি এতেই জাতির জান,
তাইত বেকুব, করলি তোরা এক জাতিকে একশ-খান।
এখন দেখিস ভারত জোড়া প’চে আছিস বাসি মড়া
মানুষ নাই আজ, আছে শুধু জাত-শেয়ালের হুক্কাহুয়া॥

জানিস নাকি ধর্ম সে যে বর্ম সম সহন-শীল
তাকে কি ভাই ভাঙ্তে পারে ছোঁয়া ছুঁয়ির ছোট্ট ঢিল।
যে জাত-ধর্ম ঠুন্কো এত, আজ নয় কা’ল ভাঙবে সে তো
যাক্ না সে জাত জাহান্নামে, রইবে মানুষ, নাই পরোয়া॥

বলতে পারিস, বিশ্বপিতা ভগবানের কোন সে জাত?
কোন্ ছেলের তার লাগলে ছোঁয়া অশুচি হন জগন্নাথ?
ভগবানের জাত যদি নাই, তোদের কেন জাতের বালাই?
ছেলের মুখে থুথু দিয়ে মার মুখে দিস ধূপের ধোঁয়া॥