পানসে জোছনাতে কে চলো গো

পানসে জোছনাতে কে চলো গো পানসী বেয়ে।
ঢেউ এর তালে তালে বাঁশিতে গজল গেয়ে।।
মেঘের ফাঁকে ফোটে বাঁকা শশীর চিকন হাসি,
উজান বেয়ে চলো তুমি কি তার চোখে চেয়ে।।

ও-পারে লুকায়ে আঁধার গভীর ঘন বন-ছায়,
আকাশে হেলান দিয়ে আলসে পাহাড় ঘুমায়।
ঘুমায়ে দূরে সে কোন গ্রাম বাসরে পল্লি-বধূর প্রায়;
ও-পারে ধুধু বালুচর যেন নদীর আঁচল লুটায়।
ছাড়ি এ-সুখবাস চলেছ কোথায় গো নেয়ে।।

নদীর দু-তীরে টানে বেতস-লতা উত্তরীয়,
চমকি উঠি চখি ডাকে মুহু মুহু ‘কিও!’
চকোরী চাঁদে ভুলি চাহে তব মুখ পানে,
কেঁদে পাপিয়া শুধায়, ‘পিউ কাঁহা, কাঁহা পিও।’
তুমি যাও আপন-বিভোল স্বপনে নয়ন ছেয়ে।।

[গজল, পিলু খাম্বাজ মিশ্র দাদরা]
(বনগীতি গ্রন্থের প্রথম খণ্ড হতে সংগৃহীত)